সোলায়মানি হত্যায় যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি: জাতিসংঘ

ইরানের কুদস বাহিনীর সাবেক কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আনা অভিযোগের কোনও প্রমাণ মেলেনি। বরং এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ ঘোষণা লঙ্ঘন করেছে ওয়াশিংটন। এমনটাই উঠে এসেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত এক বিশেষ প্রতিবেদনে। এটি  তৈরি করেছেন সংস্থাটির বিচার বিষয়ক বিশেষ দূত অ্যাগনেস ক্যালামার্ড।

২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ইরানে ড্রোন হামলা চালিয়ে জেনারেল কাসেমিকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র। বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে চালানো ওই হামলায় তার সহযোগী ও ইরাকের সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘হাশদ আশ-শাবি’র উপপ্রধান মাহদি আল মুহান্দিস-সহ আরও কয়েকজন নিহত হন। এ ঘটনা যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার বিদ্যমান উত্তেজনায় ঘি ঢালে। তবে সোমবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক অ্যাগনেস ক্যালামার্ড এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযোগ নাকচ করে দেন।

অ্যাগনেস ক্যালামার্ড তার তদন্ত প্রতিবেদনে বলেছেন, জেনারেল সোলাইমানি মার্কিন স্বার্থে আঘাত হানতে চেয়েছিলেন বলে তাকে হত্যা করার যে দাবি ওয়াশিংটন করেছে তার প্রমাণ মেলেনি। এ হত্যাকাণ্ড আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ ঘোষণার লঙ্ঘন।

এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে জবাবদিহিতা করারও আহ্বান জানান অ্যাগনেস ক্যালামার্ড। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এ বেআইনি কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। সবকিছু জেনেও আন্তর্জাতিক সমাজও নীরব রয়েছে।

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে অ্যাগনেস ক্যালামার্ড-এর এ প্রতিবেদন উত্থাপনের কথা রয়েছে।

সোলাইমানি হত্যার পর মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগন জানায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশেই এ ইরানি কমান্ডার ও তার সহযোগীদের হত্যা করা হয়েছে।

ট্রাম্পের দাবি, ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার পরিকল্পনা করতেই দেশটিতে প্রবেশ করেছিলেন সোলাইমানি। এ জন্যই তাকে আগেভাগে সরিয়ে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তবে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে তার এমন দাবির সত্যতা মেলেনি।