যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী আটক কেন্দ্রের এক হাজার কর্মী করোনায় আক্রান্ত

 

যুক্তরাষ্ট্রে বেসরকারিভাবে পরিচালিত অভিবাসী আটককেন্দ্রগুলোর ৯৩০ জনেরও বেশি কর্মীর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সোমবার (১৩ জুলাই) কংগ্রেসীয় জবানবন্দিতে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাহীরা।

প্রতীকী ছবিএখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও শুল্ক বিভাগের (আইসিই) অধীনে আটক থাকা তিন হাজারেরও বেশি মানুষের মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে কেউ কেউ সুস্থ হয়েছে, আবার কাউকে কাউকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অভিবাসন কর্তৃপক্ষের অধীনে বর্তমানে প্রায় ২২ হাজার ৫৮০ জন অভিবাসী আটক রয়েছে। গত কয়েক মাসে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে গ্রেফতারের সংখ্যা কমেছে। করোনাভাইরাসের ঝুঁকির কথা জানিয়ে আটককৃতদের ছেড়ে দিতে বলেছে আদালত।

যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন কর্তৃপক্ষের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, তাদের ৪৫ জন নিজস্ব কর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে অভিবাসন বিভাগের সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতে পরিচালিত বেসরকারি আটককেন্দ্রের কর্মীদেরকে এ হিসাবের আওতায় রাখা হয় না।

যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও শুল্ক বিভাগের অধীনে পরিচালিত অভিবাসন আটককেন্দ্রের মধ্যে সোমবার চারটি কোম্পানির নির্বাহীরা জবানবন্দি দিয়েছেন। এ কোম্পানিগুলো হলো-কোরসিভিক, দ্য জিও গ্রুপ, ম্যানেজমেন্ট এন্ড ট্রেনিং করপোরেশন ও লাসেল কারেকশনস। এদিন যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ৭০টি অভিবাসী আটককেন্দ্রে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার খবরে উদ্বেগ জানান কংগ্রেস সদস্যরা।

সোমবার কোরসিভিক জানিয়েছে, তাদের প্রায় ১৪ হাজার কর্মীর মধ্যে ৫৫৪ জনের করোনা পরীক্ষার ফল পজেটিভ এসেছে। ৩ হাজার ৭০০ জন কর্মীর মধ্যে ১৬৭ জন আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছে জিও গ্রুপ। এর মধ্যে ৬৯ জন সুস্থ হয়েছে এবং একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। লাসেল কারেকশনস-জানিয়েছে, তাদের ৩ হাজার কর্মীর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১৪৪ জন। আর এমটিসি জানিয়েছে, তাদের ১২০০ কর্মীর মধ্যে ৭৩ জনের করোনা পজিটিভ।