ডেমোক্র্যাট শহরে অতিরিক্ত ফেডারেল এজেন্ট পাঠাবেন ট্রাম্প

অপরাধ দমনে যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত শহরগুলোতে অতিরিক্ত ফেডারেল এজেন্ট পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার হোয়াইট হাউসে মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বারকে পাশে রেখে এ ঘোষণা দেন তিনি। আগামী নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ইস্যুতে জনগণের মন জেতার চেষ্টা করছেন তিনি। তবে পোর্টল্যান্ড, ওরেগনসহ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের কর্মকর্তারা বলছেন, চলমান বিক্ষোভের মধ্যে অতিরিক্ত ফেডারেল এজেন্ট পাঠানোর কারণে উত্তেজনা বেড়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।noname

গত ২৫ মে পুলিশ হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গন নাগরিক জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ চলছে। এসব বিক্ষোভের কারণে কোথাও কোথাও সামাজিক শৃঙ্খলা ব্যাহত হচ্ছে। ট্রাম্পের অভিযোগ ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত শহরগুলো বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি। এছাড়া নিউ ইয়র্ক সিটি, ফিলাডেলফিয়া, লস অ্যাঞ্জেলস, শিকাগোসহ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে বন্দুক সহিংসতার ঘটনাও বেড়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছে। প্রায় সব জরিপেই প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছেন তিনি। এমন অবস্থায় ফেডারেল এজেন্ট পাঠিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে চাইছেন তিনি।

অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ডেমোক্র্যাটরা দুর্বলতা দেখাচ্ছে অভিযোগ করে বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আমাদের উগ্রবাদী আন্দোলন পরাজিত, নিষ্ক্রিয় এবং পুলিশ বিভাগ বিলুপ্ত করতে হয়েছে।’ এসব ঘটনার জন্য তিনি বন্দুক হামলা, হত্যাকাণ্ড, খুন আর জঘণ্য অপরাধ বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করেন। অতিরিক্ত ফেডারেল এজেন্ট পাঠানোর মাধ্যমে এসব রক্তপাত বন্ধ হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

প্রেসিডেন্টের সঙ্গে থাকা অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার জানান, কানসাস সিটি ও মিসৌরিতে প্রায় দুইশো ফেডারেল এজেন্ট পাঠানো হবে। শিকাগোকে তুলনামূলক সংখ্যক এবং নিউ মেক্সিকো ও আলবুকুয়েরকুতেও প্রায় ৩৫ জন এজেন্ট পাঠানো হবে।

এসব ফেডারেল এজেন্ট দাঙ্গা কিংবা সংঘবদ্ধ সহিংসতা মোকাবিলায় মোতায়েন করা হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এজেন্টদের মতো ভূমিকার বদলে প্রথাগত অপরাধ মোকাবিলায় যুক্ত থাকবেন।

উল্লেখ্য যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশি সেবার ক্ষমতা মূলত অঙ্গরাজ্যগুলোর হাতে। আর ফেডারেল এজেন্ট পাঠানোর এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন অঙ্গরাজ্যগুলোর গভর্নর ও স্থানীয় কর্মকর্তারা।