তিন দেশে নিষিদ্ধ বেলারুশের প্রেসিডেন্ট

নির্বাচনে জালিয়াতি ও গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীদের ওপর নিপীড়ন চালানোর অভিযোগে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেনকোসহ দেশটির উচ্চ পদস্থ ৩০ কর্মকর্তাকে নিষিদ্ধ করেছে তিনটি দেশ। সোমবার এই যৌথ পদক্ষেপ ঘোষণা করে এস্তোনিয়া, লাটভিয়া এবং লিথুনিয়া। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য এবং বাল্টিক অঞ্চলের এই দেশগুলো জানিয়েছে, বেলারুশের বিক্ষোভকারীদের প্রতি সমর্থন জানানোর অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেনকো

গত ২৬ বছরের শাসনকালে সবচেয়ে বড় হুমকির মুখে পড়েছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেনকো। গত ৯ আগস্ট দেশটিতে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ ওঠার পর শুরু হয় তার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ। টানা চার সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভের প্রাথমিক দিনগুলোতে অনড় অবস্থানে থাকলেও সম্প্রতি সংবিধান সংস্কারে নিজস্ব প্রস্তাবনা তুলে ধরে এনিয়ে গণভোটের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।

তা সত্ত্বেও বেলারুশের প্রেসিডেন্ট ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে লিথুনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিনাস লিনকেভিসিয়াস বলেন, ‘আমরা বার্তা পাঠাচ্ছি যে, কেবল বিবৃতি দেওয়ার চেয়ে বেশি কিছু করা দরকার, আর আমাদের অবশ্যই সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নিতে হবে।’ নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগে বেলারুশে বিক্ষোভ শুরুর পর লিথুনিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন সেদেশের বিরোধী প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী স্টেভলানা তিকানোভস্কয়া। তার মুখপাত্র জানিয়েছেন, আগামী শুক্রবার এস্তোনিয়ার আমন্ত্রণে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভাষণ দেবেন তিকানোভস্কয়া।

এদিকে বাল্টিক তিন দেশ বেলারুশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার পর একই ধরণের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বিবেচনা করছে ইইউ। এজন্য তারা নিজেরাই বেলারুশেরন অভিযুক্ত শীর্ষ কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরি করবে। তবে বেলারুশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। তাদের আশঙ্কা এর মধ্য দিয়ে রাশিয়াকে হস্তক্ষেপের সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হবে।

বাল্টিক তিন দেশের নেওয়া পদক্ষেপকে হঠকারী আখ্যা দিয়েছে বেলারুশের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। এসব দেশের বিরুদ্ধে একই ধরণের ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছে তারা।