মাদুরোবিরোধী শতাধিক নেতাকে ক্ষমার ঘোষণা ভেনেজুয়েলার

পার্লামেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিরোধিতাকারী ১১০ নেতাকে ক্ষমার ঘোষণা দিয়েছে ভেনেজুয়েলা সরকার। এদের মধ্যে কারাবন্দি, বিদেশি দূতাবাসে আশ্রয় নেওয়া কিংবা দেশ ছেড়ে পালানো নেতারাও রয়েছেন। সোমবার (৩১ আগস্ট) যোগাযোগমন্ত্রী জর্জ রদ্রিগেজ ক্ষমাপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, জাতীয় ঐক্য সংহত করার উদ্দেশে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে নির্বাচনে জালিয়াতির আশঙ্কায় তা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত দেশটির স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট ও বিরোধীদলীয় নেতা জুয়ান গুইদো। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো

তীব্র অর্থনৈতিক সংকট আর উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির জেরে তৈরি হওয়া গণবিক্ষোভের জেরে এক বছরের বেশি সময় আগে নিজেকে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন জুয়ান গুইদো। প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে উৎখাত করতে তাকে সমর্থন দেয় যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশ। তবে নিজ দেশের সেনাবাহিনী ছাড়াও রাশিয়া, চীন, কিউবা, তুরস্ক ও ইরানের মতো আন্তর্জাতিক মিত্রের সমর্থনে এখনও শাসনভার ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন মাদুরো।

এমন বাস্তবতায় আগামী ৬ ডিসেম্বর ভেনেজুয়েলার পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ওই নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করার উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির সরকার। আর তারই অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্টের ডিক্রির মাধ্যমে ১১০ জন বিরোধী নেতাকে ক্ষমা করে দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। এই ক্ষমার শর্ত স্পষ্ট না হলেও যোগাযোগমন্ত্রী জর্জ রদ্রিগেজ বলেন, ‘সরকারের উদ্দেশ্য হলো জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া জোরালো করা, যাতে রাজনৈতিক ইস্যুগুলো শান্তিপূর্ণ এবং নির্বাচনি উপায়ে সমাধান করা যেতে পারে।’

নিত্যপণ্যের সংকট আর মুদ্রাস্ফীতির চাপ সামাল দিতে না পারায় গত কয়েক বছরে ভেনেজুয়েলা ছেড়ে গেছে ৫০ লাখের বেশি নাগরিক। এসব সংকটের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্র দেশগুলোর আরোপ করা অর্থনৈতিক অবরোধকে দায়ী করে থাকেন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো।