৭ শর্তে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে প্রবেশের অনুমতি

৭টি শর্ত যুক্ত করে বাংলাদেশসহ ২৫টি দেশের নাগরিককে সৌদি আরবে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সৌদি গেজেট জানিয়েছে, দেশটির বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কবে থেকে তারা সৌদি প্রবেশের অনুমতি পাবে, সেই দিনক্ষণ এখনও জানানো হয়নি।

noname

চলমান করোনাভাইরাস সংকটের কারণে বিশ্বের প্রায় সব দেশ বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল। সংক্রমণ কমতে শুরু করার পর বিভিন্ন দেশ সীমিত আকারে বিমান চলাচল শুরু করে। সেই ধারাবাহিকতায় আটকে থাকা প্রবাসীদের ফেরার অনুমতি দিচ্ছে রিয়াদ।

যে ২৫টি দেশের প্রবাসীরা সৌদি আরব ফিরে আসার সুযোগ পাচ্ছে তাদের মধ্যে বাংলাদেশের নাম রয়েছে ১৮ নম্বরে। তবে বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলংকাসহ অন্যান্য দেশগুলো আপাতত এ সুযোগ পাচ্ছে না।  

সৌদি প্রবেশের অনুমতি পাওয়া অন্য দেশগুলো হলো- সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, বাহরাইন, লেবানন, কুয়েত, মিসর, তিউনিসিয়া, মরক্কো, চীন, ইংল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক, গ্রিস, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুদান, ইথিওপিয়া, কেনিয়া ও নাইজেরিয়া।

৭টি শর্ত পূরণ করে ২৫টি দেশের নাগরিক সৌদি আরবে ফিরে যেতে পারবেন বলে জানা গেছে। শর্তগুলো হলো: 

১. সৌদি আরব ভ্রমণ করতে হলে সে দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে একটি ফরম পূরণ করে তার মধ্যে বিস্তারিত তথ্য লিখে নিচে স্বাক্ষর করতে হবে এবং ফেরার সময় এটি এয়ারপোর্টে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত ডেস্কে জমা দিতে হবে।

২. ভ্রমণের সাত দিন আগে থেকে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। মূলত পিসিআর দেওয়ার চার দিন আগে থেকে এবং পিসিআর রিপোর্ট পাওয়ার তিন দিন পর পর্যন্ত।

৩. সৌদি আরবের টাটামন এবং তাওয়াক্বালনা অ্যাপস ডাউনলোড করে নিবন্ধন করতে হবে।

৪. অবশ্যই সৌদিতে ফেরার ৮ ঘণ্টার মধ্যে টাটামন (tatamman) অ্যাপের মাধ্যমে বাসার অবস্থান নির্ধারণ করতে হবে।

৫. কোভিড-১৯ এর লক্ষণ সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে। যদি কোনো লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে সরাসরি ৯৩৭ নম্বরে ফোন করতে হবে অথবা সাধারণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে।

৬. টাটামন অ্যাপসের মাধ্যমে প্রতিদিনের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি জানাতে হবে।  

এবং

৭. কোয়ারেন্টিন থাকাকালীন সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশিত ফরম অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।