ভূমধ্যসাগর পরিস্থিতি নিয়ে এরদোয়ানের সঙ্গে আলোচনা ম্যার্কেলের

পূর্ব ভূমধ্যসাগর পরিস্থিতি নিয়ে তুরস্কের সঙ্গে আলোচনা করেছে জার্মানি। বুধবার এক ফোনালাপে এ নিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের সঙ্গে কথা বলেছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল। এ সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নকে এ ইস্যুতে একতরফা গ্রিসের পক্ষ না নিয়ে নিরপেক্ষ থাকার আহ্বান জানান এরদোয়ান। এ সময় দুই নেতা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সংকট উত্তরণের ওপর জোর দেন।noname

তুর্কি প্রেসিডেন্টের দফতরের এক বিবৃতিতে দুই নেতার ফোনালাপের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফোনালাপে এরদোয়ান পূর্ব ভূমধ্যসাগর পরিস্থিতি নিয়ে তুর্কি-গ্রিস বিবাদ নিরসনে আলোচনার ওপর জোর দেন। তবে এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে ন্যায্যতার ভিত্তিতে গঠনমূলক দৃষ্টিভঙ্গি করতে হবে।

এরদোয়ান বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোর উচিত এ ইস্যুতে একটি ন্যায়সঙ্গত অবস্থান নেওয়া। তুরস্ক আলোচনায় প্রস্তুত। তবে একইসঙ্গে আঙ্কারা তার অধিকারের সুরক্ষার নীতি থেকে সরে আসবে না।

ফোনালাপকালে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকর, গোয়েন্দা বিভাগের চেয়ারম্যান হাকান ফিদান-সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এরদোয়ানের পাশে উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ব ভূমধ্যসাগর ইস্যুতে তুরস্ক ও গ্রিসের মধ্যে মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে জার্মানি। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও উভয় পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এ ইস্যুতে সোমবার তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। এ সময় পূর্ব ভূমধ্যসাগর পরিস্থিতি ছাড়াও তার্কিশ রিপাবলিক অব নর্দার্ন সাইপ্রাস (টিআরএনসি) নিয়েও কথা হয় দুই নেতার।

এদিকে তুরস্কের সঙ্গে বিবাদের মধ্যেই সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে গ্রিস। দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোটাকিস জানিয়েছেন, তার দেশ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় করবে। এরমধ্যে ফ্রান্সের তৈরি ১৮টি রাফাল যুদ্ধবিমান, চারটি ফ্রিগেট এবং চারটি নেভি হেলিকপ্টারও রয়েছে।

পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তুরস্কের অশোধিত তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রমে গ্রিস ও সাইপ্রাস আপত্তি তুললে এ উত্তেজনা তৈরি হয়। এটি ক্রমেই আরও জটিল আকার ধারণ করছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘গ্রিস হয় রাজনীতি ও কূটনীতির ভাষা বুঝবে, না হয় তাদের বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতার মুখে পড়তে হবে। তুরস্কের জনগণ যেকোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রয়েছে।’ সূত্র: ডেইলি সাবাহ, বিবিসি।