আজারবাইজান পরিস্থিতি নিয়ে তুরস্কের সঙ্গে আলোচনা যুক্তরাষ্ট্রের

আজারবাইজান পরিস্থিতি নিয়ে তুরস্কের সঙ্গে আলোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার এক ফোনালাপে এ বিষয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিনের সঙ্গে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও'‌ব্রায়েন। এ সময় আর্মেনিয়ার সঙ্গে আজারবাইজানের যুদ্ধাবস্থা ছাড়াও পূর্ব ভূমধ্যসাগর পরিস্থিতি এবং ওয়াশিংটন-আঙ্কারা সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন তারা। তুর্কি প্রেসিডেন্টের দফতরের এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি।noname

প্রতিবেদনে বলা হয়, ফোনালাপে তুর্কি প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র যুক্তরাষ্ট্রকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তার দেশ আজারবাইজানের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে।

ইব্রাহিম কালিন বলেন, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য আর্মেনিয়াকে আজারবাইজানের ভূখণ্ড ছাড়তে হবে।

এদিকে আর্মেনিয়া-আজারবাইজান সংঘাত নিরসনে তুরস্কের সহায়তা চেয়েছে রাশিয়া। রুশ প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, আমরা সব পক্ষকে বিশেষ করে মিত্র দেশ তুরস্কের প্রতি যুদ্ধবিরতি ও সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে সম্ভাব্য সবকিছু করার আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে যেকোনও পক্ষকে যেকোনও ধরনের সমর্থন ও সামরিক কর্মকাণ্ড জ্বলন্ত আগুনে ঘি ঢালবে।

উল্লেখ্য, আর্মেনিয়ায় রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। অবশ্য আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া, উভয় দেশের কাছেই অস্ত্র সরবরাহ করে মস্কো। পেসকভ জানিয়েছেন, রাশিয়ার পক্ষ থেকে তিন দেশের সঙ্গেই নিবিড় যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।