এবার খারিজ হলো কৃষ্ণ জন্মভূমির আবেদন

অযোধ্যার রাম মন্দির মামলার পর দেবতা কৃষ্ণের জন্মস্থান দাবি করে দায়ের করা একটি আবেদন খারিজ করে দিয়েছে ভারতের একটি আদালত। উত্তর প্রদেশের মথুরায় একটি মসজিদের কাছে দেবতা কৃষ্ণের জন্ম হয়েছে বলে দাবি করে সেটি অপসারণ করে মন্দির নির্মাণের দাবিতে আদালতে ওই আবেদন দাখিল করা হয়। তবে বুধবার সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।noname

দেবতা কৃষ্ণের জন্মভূমির অধিকার দাবি করে গত সপ্তাহে মথুরার একটি সিভিল আদালতে আবেদন করা হয়। ওই আবেদনে দাবি করা হয়, কৃষ্ণের জন্মভূমিতে স্থাপিত মন্দিরের অংশবিশেষ মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব ধ্বংস করেন। মন্দিরের পাশে অবস্থিত মসজিদটি অপসারণের দাবি করা হয়।

তবে ১৯৯১ সালের প্রার্থনা স্থল (বিশেষ ধারা) আইনের কথা উল্লেখ করে ওই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। ওই আইনে ১৯৪৭ সালে বলবৎ কোনও ধর্মীয় স্থানের অবস্থা বদলে দেওয়াকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এই আইন থেকে অযোধ্যার ভূমি বিরোধকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

কৃষ্ণ জন্মভূমির আবেদনটি আদালতে দাখিল করেন আইনজীবী বিষ্ণু জৈন। মথুরার শাহি ঈদগাহ মসজিদসহ সেখানকার ১৩.৩৭ একর জায়গার পুরো কর্তৃত্ব দাবি করে আবেদনে তিনি বলেন, ‘জমিটির প্রতি ইঞ্চি জায়গা দেবতা কৃষ্ণের ভক্ত এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে পবিত্র।’ আবেদনে দাবি করা হয়, রাজা কংসের কারাগারে জন্ম হয় দেবতা কৃষ্ণের আর সেই পুরো এলাকাটি ‘কাটরা কেশব দেব’ নামে পরিচিত।

আবেদনে বলা হয়, ‘প্রকৃত ঘটনা এবং ইতিহাস হলো আওরঙ্গজেব ১৬৫৮ থেকে ১৭০৭ সাল পর্যন্ত পুরো ভারত শাসন করেছেন আর তিনি নিজে ইসলাম ধর্মের অনুসারী হওয়ায় বিপুল সংখ্যক হিন্দু ধর্মীয় স্থান ধ্বংসের নির্দেশ দেন। এর মধ্যে ১৬৬৯-৭০ সালে দেবতা কৃষ্ণের জন্মস্থান মথুরার কাটরা কেশব দেব-এ অবস্থিত মন্দিরও ছিলো।’

উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বরে অযোধ্যার ভূমি বিরোধ মামলার নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত রায় দেয় ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। বিতর্কিত ওই জমিতে রাম মন্দির স্থাপন এবং অন্য যেকোনও স্থানে মসজিদ নির্মাণের আদেশ দেওয়া হয়। ওই রায়ের পরই দেবতা কৃষ্ণের জন্মস্থানের কর্তৃত্বের দাবি নিয়ে আদালতে যাওয়া হয়।