অস্ত্র প্রতিযোগিতা শুরু করবে না ইরান: জারিফ

ইরানের ওপর থেকে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর তেহরান কোনওভাবেই নতুন করে অস্ত্র প্রতিযোগিতা শুরু করবে না। মঙ্গলবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের এক বৈঠকে দেওয়া ভাষণে এমন মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাওয়াদ জারিফ। রাশিয়ার উদ্যোগে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

জাওয়াদ জারিফ বলেন, আমাদের অঞ্চলে বেশ কয়েকটি যুদ্ধ হয়েছে। বিপুল পরিমাণে বিদেশি সেনা মোতায়েন করা রয়েছে। পাশাপাশি চরমপন্থী এবং সন্ত্রাসবাদের বিপদজনক উত্থান ঘটানো হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলকে সর্বাধুনিক অস্ত্রের গুদামে পরিণত করা হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে বাইরের কিছু দেশ তাদের সেনা মোতায়েনের সুযোগ নিয়েছে এবং এ অঞ্চলে তারা বিপুল পরিমাণে অস্ত্র বিক্রি করছে।

আরব দেশগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, বিপুল অর্থের বিনিময়ে সর্বাধুনিক অস্ত্র-শস্ত্র কেনা যায়। কিন্তু তা দিয়ে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা আনা যায় না।

জারিফ একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, ‘পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ৫০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে। এছাড়া তারা ২৯টি ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা করেছে যেখানে ৩০০ যুদ্ধবিমান মোতায়েন রয়েছে। প্রায় সব সময় ইরানের পানিসীমার কাছে মার্কিন বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ টহল দেয়। এছাড়া তারা বহু সংখ্যক ডেস্ট্রয়ার মোতায়েন করেছে।

জারিফ বলেন, ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যত অস্ত্র বিক্রি হয়েছে তার চার ভাগের এক ভাগ কিনেছে উপসাগরীয় দেশগুলো এবং আমেরিকা হচ্ছে প্রধান বিক্রেতা। বাইরের দেশগুলোর সামরিক উপস্থিতি মধ্যপ্রাচ্যের জনগণকে রক্ষার জন্য নয় বরং এ অঞ্চলে তাদের ক্ষমতা ঠিক রাখার জন্য।

কুদস ফোর্সের সাবেক কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসেম সোলাইমানির হত্যাকাণ্ড নিয়েও কথা বলেন জারিফ। তিনি বলেন, ট্রাম্পের নির্দেশেই উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসের প্রধান শত্রু কাসেম সোলায়মানিকে হত্যা করা হয়েছে। সূত্র: পার্স টুডে।