সন্ত্রাসে অর্থায়নকারী দেশের তালিকাতেই থাকছে পাকিস্তান

প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পূর্ণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় সন্ত্রাসে অর্থায়নকারী দেশের একটি তালিকায় পাকিস্তানকে রেখে দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন দেশের সরকারের সমন্বয়ে গঠিত ফাইনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্স (এফএটিএফ) এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। আর্থিক নিয়ন্ত্রণ উন্নতি ঘটাতে ইসলামাবাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে  টাস্কফোর্সটি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।noname

সন্ত্রাসে অর্থায়ন ঠেকানোর নিয়ন্ত্রণ অপর্যাপ্ত বলে মনে করলে এফএটিএফ সেইসব দেশকে ধূসর তালিকাভুক্ত করে থাকে।২০১৮ সালে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসে অর্থায়নকারী দেশে হিসেবে ধূসর তালিকাভুক্ত করে এফএটিএফ। ওই সময় ইসলামাবাদকে ২৭টি শর্ত দেওয়া হয়। গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৪টি শর্ত পূরণ করলে বাকি শর্তগুলোর জন্য ইসলামাবাদকে আরও চার মাস সময় দেওয়া হয়। পরে করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে সেই সময়সীমা আরও বাড়ানো হয়। তবে এখন পর্যন্ত ২১টি শর্ত পূরণে সক্ষম হয়েছে দেশটি।

শুক্রবার প্যারিসে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এফএটিএফ প্রেসিডেন্ট ড. মার্কাস প্লেয়ার বলেন, ‘বাকি অ্যাকশন প্লানগুলো পূর্ণ করতে পাকিস্তান সরকার প্রতিশ্রুতির ইঙ্গিত দিয়েছে। পাকিস্তান উন্নতি করলেও এটা স্পষ্ট যে এটির আরও উন্নতি করা প্রয়োজন।‘ তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান এখন থামতে পারে না। তাদের সংস্কার অব্যাহত রাখা প্রয়োজন বিশেষ করে সুনির্দিষ্ট আর্থিক নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন, বিচারের মুখোমুখি করা এবং যারা সন্ত্রাসে অর্থায়ন করে তাদের নিষেধাজ্ঞা আরোপে।‘

এফএটিএফ’র সিদ্ধান্তের আগে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি বলেন, ইসলামাবাদকে শাস্তিমূলক তালিকায় রাখতে আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বি ভারত প্রচেষ্টা চালাতে পারে। এফএটিএফ সমর্থিত আঞ্চলিক সংস্থা দ্য এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ পাকিস্তানকে ধূসর তালিকায় রাখার সুপারিশ করে। কারণ হিসেবে সংস্থাটি জানায় দেশটি থেকে সন্ত্রাসে অর্থায়ন এখনও শনাক্ত না হওয়ার ঝুঁকি থেকে গেছে।

পাকিস্তানের প্রভাবশালী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রায়শই  বিভিন্ন সশস্ত্র যোদ্ধাদের মদত দিয়ে তাদের প্রতিবেশি ভারত বা আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে প্রক্সি হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে।