কাতারকে এফ-৩৫ দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: আশঙ্কা ইসরায়েলের

যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়েও এখন পর্যন্ত অত্যাধুনিক এফ-৩৫ সংগ্রহ করতে পারেনি সংযুক্ত আরব আমিরাত। তবে হামাসের মিত্র হিসেবে পরিচিত কাতার চাইলেই এটি সংগ্রহ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে তেল আবিব। রবিবার ইসরায়েলের জ্বালানিমন্ত্রী ইউভাল স্টেইনিজ নিজ দেশের এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

হামাস ও ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় কাতারের হাতে অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম পৌঁছানোর বিষয়ে ইসরায়েলের উদ্বেগ রয়েছে। ফলে স্বভাবতই ওয়াশিংটনের এ ধরনের যেকোনও উদ্যোগের জোরালো বিরোধিতা করবে তেল আবিব। এমনকি সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের পরও দেশটিকে এফ-৩৫ সরবরাহের বিরোধিতা করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

ইউভাল স্টেইনিজ বলেন, ‘কাতার যদি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান চায় এবং এজন্য অর্থ পরিশোধে প্রস্তুত থাকে তাহলে আজ হোক আর কাল হোক তারা এটি পাবে। এ ব্যাপারে আমার কোনও সন্দেহ নেই।’

ইসরায়েলি জ্বালানিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়টি অবশ্যই আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে। কেননা, যুক্তরাষ্ট্র শেষ পর্যন্ত তার নিজ স্বার্থই দেখবে।

তিনি বলেন, ওয়াশিংটন ফিরিয়ে দিলে রাশিয়া কিংবা চীন কাতারের কাছে তাদের নিজস্ব যুদ্ধবিমান বিক্রির প্রস্তাব দেবে। ওয়াশিংটন কখনও এটি চাইবে না।

এর আগে ইসরায়েলের গোয়েন্দা মন্ত্রী এলি কোহেন জানান, কাতারের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রির যেকোনও উদ্যোগের বিরোধিতা করবে তেল আবিব।

উল্লেখ্য, মিত্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হতে পারে; এমন আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র তার অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম আরব দেশগুলোর কাছে বিক্রি করে না। দুই দেশের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি রয়েছে।

চুক্তির আওতায় ইসরায়েলের প্রতিবেশীদের কাছে যুক্তরাষ্ট্র এমন কোনও অস্ত্র বিক্রি করে না, যেগুলো তেল আবিবের অস্ত্রের চেয়ে বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন। ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে প্রতিবেশীদের তুলনায় বেশি শক্তিসম্পন্ন অস্ত্র সরবরাহ নিশ্চিত করতে হয় ওয়াশিংটনকে। একইসঙ্গে প্রতিবেশীর কাছে বিক্রি করা অস্ত্রের মোকাবিলায় আগেই ইসরায়েলকে প্রস্তুত করা হয়।