কারাবাখ পরিস্থিতি নিয়ে এরদোয়ানের সঙ্গে আলোচনা পুতিনের

কারাবাখ পরিস্থিতি নিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের সঙ্গে কথা বলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শনিবার রাতে ফোনে কথা হয় দুই নেতার। এ সময় কারাবাখ পরিস্থিতি ছাড়াও আঞ্চলিক নানা বিষয়ে কথা বলেন দুই নেতা। তুর্কি প্রেসিডেন্টের যোগাযোগ দফতরের এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

ফোনালাপে এরদোয়ান পুতিনকে বলেন, আর্মেনিয়াকে অবশ্যই আজেরি ভূখণ্ড থেকে  দখলদারিত্ব প্রত্যাহার করতে হবে।

এরদোয়ান বলেন, আজেরি ভূখণ্ডে আর্মেনিয়ার হামলার ফলেই আজারবাইজানকে জবাব দিতে হচ্ছে।

রাশিয়া এর আগে বলেছিল, আর্মেনিয়ার সঙ্গে তাদের প্রতিরক্ষা চুক্তি রয়েছে। তবে কারাবাখের সংঘাত ওই চুক্তির আওতায় পড়ে না। কেননা, এটি দেশটির মূল ভূখণ্ড নয়। তবে গত মাসের শেষদিকে কারাবাখ ইস্যুতে প্রয়োজনে আর্মেনিয়াকে সরাসরি সমর্থন দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে মস্কো। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কারাবাখ ছাড়িয়ে সংঘাত আর্মেনিয়ার মূল ভূখণ্ডে পর্যন্ত পৌঁছালে আর্মেনিয়াকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে মস্কো।

নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের পুরনো সংঘাত গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন করে আবার শুরু হয়। এরইমধ্যে সংঘাতে প্রাণহানি হয়েছে প্রায় দুই হাজার মানুষের। সংঘাত নিরসনে রাশিয়ার উদ্যোগে আর্মেনিয়া-আজারবাইজান দুটি অস্ত্রবিরতি চুক্তিতে পৌঁছার পরও লড়াই থামেনি। সবশেষ যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সংঘাত নিরসনের প্রচেষ্টা চালানো হয়। এর অংশ হিসেবে তৃতীয় দফার অস্ত্রবিরতিতে পৌঁছায় দুই দেশ। সেটিও ব্যর্থ হলে পুনরায় অস্ত্রবিরতির আলোচনায় বসলেও কোনও সমঝোতা হয়নি।

উল্লেখ্য, নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের ভেতরে অবস্থিত হলেও ইয়েরেভান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করছে আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। ১৯৮০-এর দশকের শেষদিকে অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মুহূর্তে সংঘর্ষ চূড়ান্ত আকার ধারণ করে। ১৯৯৪ সালে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত এই সংঘর্ষে ৩০ হাজার মানুষ নিহত হয়। পরে ২০১৬ সালের শুরুতেও সংঘাতে জড়ায় দুই পক্ষ। সূত্র: ডেইলি সাবাহ।