পরিবেশ সুরক্ষায় প্রায় ৮০ কোটি ডলার দিচ্ছেন জেফ বেজোস

জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে প্রায় ৮০ কোটি ডলার বরাদ্দ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। দুনিয়ার অন্যতম শীর্ষ এই ধনকুবের সোমবার এক ঘোষণায় জানান, বেজোস আর্থ ফান্ডের অংশ হিসেবে পরিবেশ সুরক্ষায় কাজ করা ১৬টি প্রতিষ্ঠানকে এই বরাদ্দ দেওয়া হবে। বরাদ্দ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে এনজিও, পরীক্ষাগার, বনায়ন এবং জলবায়ু ন্যায়বিচার নিশ্চিতে কাজ করা বিভিন্ন গোষ্ঠী। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন’র প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস

গত বছর জলবায়ু প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করে অ্যামাজন। এর আওতায় কোম্পানিটি ২০২৫ সাল নাগাদ শতভাগ নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার এবং ২০৪০ সাল নাগাদ কার্বন নিঃসরণ শূন্যতে নামিতে আনার প্রতিশ্রুতি দেয়। এছাড়াও  পণ্য সরবরাহ করতে অ্যামাজন এক লাখ বৈদ্যুতিক যান কিনেছে আর বনায়ন এবং জলবায়ু সমস্যা নিরসন কর্মসূচিতে দশ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে।

জেফ বেজোস নতুন যে অর্থ বরাদ্দের ঘোষণা দিয়েছেন তা দেওয়া হবে অ্যামাজনের প্রধান নির্বাহীর (সিইও) ব্যক্তিগত সম্পদ থেকে। ব্লুমবার্গের ধনকুবের সূচক অনুযায়ী বর্তমানে তার মোট ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণ ১৮ হাজার চারশ’ কোটি ডলার। আর সেই সম্পদ থেকে পরিবেশ সুরক্ষায় কাজ করা বিজ্ঞানী, অ্যাকটিভিস্ট, এনজিও এবং প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা দিতে এক হাজার কোটি ডলার বরাদ্দ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অ্যামাজন সিইও বেজোস।

সোমবার এক ইন্সটাগ্রাম পোস্টে জেফ বেজোস অর্থ বরাদ্দের ঘোষণা দিয়ে লেখেন, ‘গত কয়েক মাস আমি ব্যয় করেছি দারুণ স্মার্ট একদল মানুষের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে যারা জলবায়ু পরিবর্তন এবং বিশ্বজুড়ে জনগোষ্ঠীগুলোর এর প্রভাব ঠেকাতে নিজেদের জীবন ব্যয় করছেন। তারা যা করছেন তাতে আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি আর সামান্য মাত্রায় সহায়তা করতে পেরে উত্তেজিত বোধ করছি।’

বেজোসের বরাদ্দ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে: দ্য ক্লাইমেট অ্যান্ড ক্লিন এনার্জি ইকুইটি ফান্ড, ক্লাইমেটওয়ার্কস ফাউন্ডেশন, ড্রিম কর্পস গ্রিন ফর অল, ইডেন রিফরেস্টেশন প্রজেক্টস, এনার্জি ফাউন্ডেশন, ইনভায়রনমেন্টাল ডিফেন্স ফান্ড, দ্য হাইভ ফান্ড ফর ক্লাইমেট অ্যান্ড জেন্ডার জাস্টিস, ন্যাচারাল রিসোর্সেস ডিফেন্স কাউন্সিল, দ্য নেচার কনজারভেন্সি, এনডিএন কালেক্টিভ, রকি মাউন্টেইন ইন্সটিটিউট, সাল্ক ইন্সটিটিউট ফর বায়োলোজিক্যাল স্টাডিজ, দ্য সল্যুশন প্রজেক্ট, ইউনিয়ন অব কনসার্নড সাইন্সিটিস্ট, ওয়ার্ল্ড রিসোর্স ইন্সটিটিউট এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড।

সোমবারের পোস্টে বেজোস লিখেছেন, ‘আমরা সবাই মিলে এখনই জোরালো পদক্ষেপ নিয়ে পৃথিবীর ভবিষ্যত সুরক্ষিত করতে পারি।’