মঙ্গলবার নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করবেন বাইডেন

ট্রাম্পের আপত্তি উপেক্ষা করেই বেশ জোরেশোরে সরকার গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কদিন আগেই হোয়াইট হাউসের নতুন চিফ অব স্টাফ হিসেবে রন ক্লাইন-এর নিয়োগ চূড়ান্ত করেছেন তিনি। রবিবার রন ক্লাইন জানিয়েছেন, মঙ্গলবার নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করবেন বাইডেন।

এবিসি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রন ক্লাইন বলেন, আগামী মঙ্গলবার আপনারা নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের প্রথম মন্ত্রিসভার নিয়োগ দেখতে পাবেন। প্রথম ধাপে কোন কোন মন্ত্রণালয় থাকছে বা কারা এসব মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পচ্ছেন সেটি জানতে চাইলে মঙ্গলবার পর্যন্ত আপনাদের অপেক্ষা করতে হবে। এদিন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের মুখেই আপনারা সবকিছু জানতে পারবেন।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস এবং যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, বাইডেন প্রশাসনে সম্ভাব্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন প্রবীণ কূটনীতিক অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। ওবামা আমলে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দ্বিতীয় শীর্ষ ব্যক্তি ছিলেন। উপ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি।

নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের টিমকে অসহযোগিতার জন্য ট্রাম্প প্রশাসনকে দোষারোপ করেন রন ক্লাইন। তিনি বলেন, জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিস এখনও গোয়েন্দা ব্রিফিং পাচ্ছেন না। করোনাভাইরাস সংক্রান্ত ডাটাও তাদের সঙ্গে শেয়ার করা হয় না।

এদিকে নির্বাচনে পরাজয়ের পর ক্ষুব্ধ ট্রাম্প গত সপ্তাহজুড়ে মার্কিন পররাষ্ট্র নীতিতে একের পর বোমা ফাটিয়েছেন। আর এতে হতভম্ব হয়েছেন তার শত্রু এবং মিত্র উভয়েই।

সিএনএন-এর খবরে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউজ ছাড়া প্রায় নিশ্চিত হওয়ার পরও আগের মেয়াদের নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি পূরণে বেপরোয়া পদক্ষেপ নিয়ে চলেছেন ট্রাম্প। তারই অংশ হিসেবে নির্বাচনের ফল স্পষ্ট হয়ে ওঠার পর গত সপ্তাহে তিনি আফগানিস্তান থেকে বেশি পরিমাণ সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আফগান সরকারের আশঙ্কা, মার্কিন সামরিক উপস্থিতি কমে গেলে দেশটিতে তালেবান আরও অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবে।

সেনা কমানোর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ট্রাম্পের নিজ দলের কিছু নেতাও। রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান অ্যাডাম কিনজিনজার ওই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এটা পরবর্তী প্রশাসনকে বিপদে ফেলার একটি চেষ্টা।

ইরাকেও সেনা কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। তবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ইরাকের উদ্বেগের কারণে কখন এবং কিভাবে সেনা কমানো হবে তা নিয়ে ইরাক সরকার ও সেখানে যৌথ বাহিনীর দায়িত্বে থাকা মার্কিন জেনারেলের মধ্যকার আলোচনার গতি ধীর হয়ে পড়েছে।