সেপ্টেম্বরের আগেই ভ্যাকসিন পাচ্ছেন বেশিরভাগ কানাডিয়ান

আগামী সেপ্টেম্বরের আগেই কানাডার বেশিরভাগ মানুষের হাতে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পৌঁছানোর জোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। শুক্রবার অটোয়ায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

noname

গত কয়েক সপ্তাহে কানাডায় হু হু করে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। একারণে বেশ কিছু অঞ্চলে চলাফেরায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সবশেষ তথ্যমতে, কানাডায় এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩ লাখ ৬২ হাজার ৬০৪ জন। মারা গেছেন অন্তত ১১ হাজার ৯১৬ জন।

ট্রুডো জানিয়েছেন, দেশব্যাপী টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তার সরকার সব প্রদেশ এবং অঞ্চলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। তিনি বলেন, কানাডা বড় পরিসরে টিকাদান কার্যক্রমের জন্য ভালোভাবেই প্রস্তুত। এটা হবে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় টিকাদান অভিযান। সে যেখানেই থাকুক না কেন, আমাদের প্রত্যেকের কাছেই টিকা পৌঁছাতে হবে।

কানাডীয় সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল ড্যানি ফরটিনকে দেশব্যাপী করোনা ভ্যাকসিন বিতরণ কার্যক্রমের প্রধান হিসেবে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো। একসময় ইরাকে ন্যাটো বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছেন এ সেনা কর্মকর্তা।

গত শুক্রবার ওন্টারিও প্রদেশে নতুন করে ১ হাজার ৮৫৫ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন, যা মহামারি শুরু থেকে এখন পর্যন্ত একদিনের সর্বোচ্চ রেকর্ড। এদিন সেখানে করোনাভাইরাসের কারণে মারা গেছেন অন্তত ২০।

কানাডার বৃহত্তম শহর টরোন্টো এবং পার্শ্ববর্তী পিল অঞ্চলে সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে চলতি সপ্তাহে লকডাউন জারি করা হয়েছে। এসব এলাকায় হোটেল-রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়া নিষিদ্ধ রয়েছে, বন্ধ করে দেয়া হয়েছে অনাবশ্যক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো।

দেশটির শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. থেরেসা ট্যাম জানিয়েছেন, দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণের অন্তত ৭৫ শতাংশই পাওয়া যাচ্ছে কুইবেক, ওন্টারিও এবং আলবার্তা প্রদেশে। এভাবে ব্যাপক হারে সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা ও জরুরি সেবাগুলো চাপের মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।