ব্যাগভর্তি অর্থসহ বিমানবন্দরে আটকে গেলেন হন্ডুরাসের সাবেক প্রেসিডেন্ট

হন্ডুরাসের সাবেক প্রেসিডেন্ট ম্যানুয়েল জেলায়া দাবি করেছেন তাকে বিমানবন্দরে অন্যায়ভাবে আটকে দেওয়া হয়েছে। ব্যাগভর্তি টাকা নিয়ে ভ্রমণ করতে চাওয়ায় দেশটির টোনকন্টিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে আটকে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে তার ব্যাগে পাওয়া যাওয়া ১৮ হাজার মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ নিজের নয় বলে দাবি করেছেন দেশটির সাবেক এই নেতা। এই অর্থ কিভাবে তার ব্যাগে এসেছে তাও খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।হন্ডুরাসের সাবেক প্রেসিডেন্ট ম্যানুয়েল জেলায়া

২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত হন্ডুরাসের প্রেসিডেন্ট ছিলেন ভেনেজুয়েলার প্রয়াত নেতা হুগো চ্যাভেজের বন্ধু ম্যানুয়েল জেলায়া। দেশটির প্রেসিডেন্ট পুনর্নির্বাচনি প্রক্রিয়া সংশোধন নিয়ে গণভোটের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় ২০০৯ সালে সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি। বিরোধীদের অভিযোগ ছিলো, ক্ষমতায় থাকার ষড়যন্ত্র করছিলেন তিনি।

ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরও বামপন্থী পার্টিতো লির্বার্দাত ই রেফান্ডাসিয়ন-এর নেতা হিসেবে রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন ম্যানুয়েল জেলায়া। তিনি জানান মেক্সিকোয় একটি সম্মেলনে যোগ দিতে টেক্সাসের যেতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে ব্যাগে অতিরিক্ত অর্থ পাওয়ায় তাকে আটকে দেওয়া হয়। দেশটির আইন অনুযায়ী অর্থ পাচার ঠেকাতে আইনি ঘোষণা দিয়ে এক জন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দশ হাজার ডলার পরিমাণ অর্থ বিদেশে নিয়ে যেতে পারে।

বিমানবন্দরে আটকে যাওয়ার পর ম্যানুয়েল জেলায়া স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এই অর্থ কোথা থেকে এসেছে আমি জানি না। নিশ্চিতভাবে, কেউ একজন আমার ব্যাগে এটা রেখেছে। আমি চারশ’রও বেশিবার ভ্রমণ করেছি আর জানি এই পরিমাণ অর্থ নিয়ে বিদেশে যাওয়া যায় না। কে আমার ব্যাগে টাকা রেখেছে তা তদন্ত করে দেখার দরকার।’

হন্ডুরাসের পাবলিক প্রসিকিউটর কার্যালয়ের এক মুখপাত্র জানান, সাবেক প্রেসিডেন্ট ম্যানুয়েল জেলায়াকে আটক করা হয়নি। তিনি বলেন, আইন মোতাবেক যা ঘটেছে তা নথিভুক্ত হওয়ার পর আর তাতে স্বাক্ষর করে সাবেক প্রেসিডেন্ট জেলায়া খুব সহজেই চলে যেতে পেরেছেন। নথিতে তিনি দাবি করেছেন এসব অর্থ তার নয়।