এক হাজারের বেশি চীনা গবেষক পালিয়েছে: যুক্তরাষ্ট্র

ভিসা আবেদনে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে চীনের ছয় গবেষককে গ্রেফতারের পর দেশটির এক হাজারেরও বেশি গবেষক যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে চলে গেছে। বুধবার মার্কিন বিচার বিভাগের তরফে বলা হয়েছে, চীনা সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের কথা গোপন করা গবেষকেরা যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে পালিয়েছে। তবে সাবেক এফবিআই কর্মকর্তাসহ একাধিক গবেষক মনে করেন, সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ থাকা চীনা গবেষকের সংখ্যা এত বেশি হতে পারে না। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।noname

ভিসা আবেদনে মিথ্যা তথ্য পাওয়ার পর ছয় চীনা গবেষককে গ্রেফতারের পর যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূতকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। মার্কিন কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়, যেসব চীনা নাগরিক তাদের প্রকৃত অবস্থার ঘোষণা দেয়নি তাদের যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে চলে যেতে হবে, না হলে গ্রেফতারের মুখোমুখি হতে হবে। এরপরই চীনা গবেষকদের বিষয়ে তদন্ত শুরু করে এফবিআই। ওই তদন্ত শুরু হওয়ার পর এক হাজারের বেশি গবেষক যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে পালিয়েছে বলে দাবি করেছে মার্কিন বিচার বিভাগ।

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ জানিয়েছে, চীনা সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে তদন্ত শুরুর পর এসব গবেষক পালিয়ে যায়। তবে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ এবং সাবেক এফবিআই কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে চীনা সামরিক বাহিনীর সঙ্গে কাজ করা গবেষকের সংখ্যা আরও অনেক কম হবে। তারা বলছেন, হতে পারে কোনও এক সময় তাদের সঙ্গে সামরিক বাহিনীর যোগাযোগ ছিল আর বিভিন্ন কারণে সরকারের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য তাদের বাধ্য করা হয়েছে।

গত জুলাইয়ে মার্কিন তথ্য চুরি এবং বেইজিংয়ের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের তথ্য গোপনের অভিযোগে চীনের ছয় গবেষককে গ্রেফতার করে যুক্তরাষ্ট্র। তারপর চীনা গবেষকদের বিষয়ে এফবিআই তদন্ত শুরু করার পর চীনা গবেষকদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়।

বুধবার যুক্তরাষ্ট্রে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জন ডেমারস বলেন, ‘চীনা গবেষকরা পালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে চীনের কাছে আমাদের বার্তা পৌঁছে গেছে: আমাদের এখানে কাউকে পাঠাতে হলে তা সততার সঙ্গে করতে হবে আর চীনা সরকার বা সামরিক বাহিনীর সঙ্গে তাদের যোগাযোগ গোপন রাখা চলবে না।’ বিচার প্রক্রিয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি বলেন, কোনও একক ব্যক্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করা নয় বরং চীনা নাগরিকদের মার্কিন তথ্য চুরির বৃহত্তম কর্মকাণ্ড ঠেকানো হবে।