সিইওওয়ার্ল্ড ম্যাগাজিনের র‍্যাংকিং

ক্ষমতাধর দেশের তালিকায় শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ ৮১তম

২০২১ সালে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ১০০ দেশের তালিকায় ঠাঁই করে নিয়েছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সিইওওয়ার্ল্ড ম্যাগাজিনের করা ১৯০টি দেশের এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৮১তম। জরিপে ১০০ নম্বরের মধ্যে বাংলাদেশের স্কোর ৬১ দশমিক ৬৭। সর্বোচ্চ ৯৮ দশমিক ০৯ স্কোর নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চীন। এরপর রয়েছে যথাক্রমে রাশিয়া, ভারত ও ফ্রান্সের নাম।

তালিকার ছয় নম্বরে রয়েছে জার্মানি। সাত নম্বরে রয়েছে জাপান। এর পরের অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইসরায়েল। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে তালিকায় বাংলাদেশের ওপরে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। এর মধ্যে ভারতের অবস্থান চতুর্থ, পাকিস্তান ৩৭ তম এবং শ্রীলঙ্কা ৮০তম।

তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে থাকা চীন ও রাশিয়ার স্কোর যথাক্রমে ৯৪ দশমিক ২৯ এবং ৯৪ দশমিক ১১। সৌদি আরব, তুরস্ক ও কাতার রয়েছে যথাক্রমে তালিকার ১১, ১৮ ও ২১ নম্বরে।

সিইওওয়ার্ল্ড ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে করোনার ধাক্কাসহ যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিক্ষয়ের বিষয়টি স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। তবে ম্যাগাজিনটি বলছে, এরপরও ২০২১ সালে দুনিয়ার সবচেয়ে প্রভাবশালী অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তি হিসেবে ওয়াশিংটনের প্রভাব অক্ষুণ্ণ থাকবে। বই, টেলিভিশন শো, সংগীত ও চলচ্চিত্রের মতো উপাদানগুলোর কল্যাণে সাংস্কৃতিকভাবেও বিশ্বজুড়ে তাদের জোরালো প্রভাব রয়েছে।

করোনার ধাক্কায় ভয়াবহ অর্থনৈতিক ক্ষতির মধ্যেও যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে তালিকার প্রথম স্থান ধরে রেখেছে তারও একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে সিইওওয়ার্ল্ড। ম্যাগাজিনটি বলছে, করোনায় অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এটি এখনও শক্তিশালী। তাছাড়া সামরিকভাবে এখনও যুক্তরাষ্ট্রই সবচেয়ে অগ্রসর। মূলত এসব বিষয়ই দেশটিকে শীর্ষস্থান ধরে রাখতে সহায়তা করেছে।

১৯ অক্টোবর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত গ্লোবাল বিজনেস পলিসি ইনস্টিটিউটের সঙ্গে এই জরিপ পরিচালনা করেছে সিইওওয়ার্ল্ড সাময়িকী। এই জরিপের ভিত্তিতে প্রকাশিত তালিকার একেবারে শেষদিকে রয়েছে স্লোভেনিয়া, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া ও স্লোভাকিয়ার নাম।

র‍্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক প্রভাব, প্রতিরক্ষা বাজেট, দেশের অস্ত্র, বৈশ্বিক জোট, সফট পাওয়ার ও সামরিক শক্তির মতো বিষয়গুলোকে।