নিখোঁজ ইন্দোনেশীয় বিমানের ব্ল্যাক বক্সের সন্ধান

ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে ৬২ জন যাত্রী নিয়ে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটির ব্ল্যাক বক্সের সন্ধান মিলেছে। রবিবার (১০ জানুয়ারি) ব্ল্যাক বক্স দুইটির অবস্থানস্থল শনাক্ত করার কথা জানায় দেশটির কর্তৃপক্ষ। এছাড়া এদিন কিছু দেহাবশেষ ও বিমানের ধ্বংসাবশেষও উদ্ধার হয়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

সিরিউয়িজায়া এয়ারের বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি শনিবার (৯ জানুয়ারি) জাকার্তা থেকে পশ্চিম কালিমানতান প্রদেশের পন্তিয়ানাক-এ যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়ে যায়। দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয় জানায় স্থানীয় সময় দুইটা ৪০ মিনিটে বিমানটির সঙ্গে সর্বশেষ যোগাযোগ করা সম্ভব হয়।
ভারী বৃষ্টির মধে উড্ডয়নের চার মিনিটের মাথায় ২৬ বছরের পুরনো বিমানটি হারিয়ে যায়। ইন্দোনেশিয়ার সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সি শনিবার জানায়, জাকার্তার উত্তর পশ্চিমের সমুদ্রে  বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। এরপরই ওই এলাকায় তল্লাশি জোরদার করা হয়।

রবিবার বিমানটির ব্ল্যাক বক্স রেকর্ডারের সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছেন ইন্দোনেশীয় জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা কমিটির প্রধান সোয়েরজান্তো জাহজোনো। সামরিক প্রধান হাদি জাহজান্তোও এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দ্রুতই এগুলো পুনরুদ্ধার করা হবে৷’ তবে কবে নাগাদ তা উদ্ধার হতে পারে তার নির্দিষ্ট কোনও সময়সীমা উল্লেখ করেননি তিনি৷

রবিবার সকালে ডুবুরিরা সমুদ্রের ৭৫ ফুট নিচ থেকে কিছু ধ্বংসাবশেষও উদ্ধার করেছেন৷ খুঁজে পেয়েছেন মানুষের শরীরে অংশবিশেষ আর কাপড়৷

উদ্ধারকারী এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাতেও অভিযান অব্যাহত থাকবে।

কর্তৃপক্ষ বলছে, উড়োজাহাজের আরোহীদের মধ্যে ১০ জন শিশু ছিল। তারা সবাই ইন্দোনেশীয়। পনতিয়ানা বিমানবন্দরে উড়োজাহাজের আরোহীদের উদ্বিগ্ন স্বজনেরা শনিবার রাত থেকে অপেক্ষায় রয়েছেন। তাদের একজন ইয়ামান জাই বলেন, উড়োজাহাজে তার স্ত্রী ও তিন সন্তান ছিল। স্ত্রী তাকে সন্তানের একটি ছবি পাঠিয়েছিলেন।

উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা বলছেন, তারা সাগর ও আকাশপথে অনুসন্ধান অভিযান চালিয়ে যাবেন। উড়োজাহাজের অনুসন্ধানে সোনার রাডার ব্যবহার করা হচ্ছে।