ফাইজারের টিকা নেওয়ার পর নরওয়েতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯

নরওয়েতে ফাইজারের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার পর মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯ জনে দাঁড়িয়েছে। শুক্রবার দেশটির কর্তৃপক্ষকে উদ্ধৃত করে ২৩ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ। সবশেষ তথ্য হাজির করে তারা বলছে, নতুন করে আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

প্রথমে যে ২৩ জনের মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়েছিল, তাদের সবার বয়স ছিল ৮০-এর বেশি। তবে নতুন করে যে ৬ জনের মৃত্যুর তথ্য দেওয়া হয়েছে, তাদের বয়স ৭৫ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে।

শুক্রবার পর্যন্ত নরওয়েতে একক ভ্যাকসিন হিসেবে ফাইজারের টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে। শনিবার ব্লুমবার্গের প্রশ্নের লিখিত জবাবে তাই দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে, সবগুলো মৃত্যুর সঙ্গেই ফাইজারের টিকার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।

নরওয়ের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘এরইমধ্যে ১৩ জনের মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হয়েছে।’ সবগুলো মৃত্যুই ‘বয়স্কদের, যারা টিকা নেওয়ার পর ভয়ানক শারীরিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছিলেন।’  বাকী ১৬ জনের মৃত্যুর ঘটনাও তদন্তাধীন।

ব্লুমবার্গের শনিবারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল,  ভ্যাকসিন গ্রহণের পর বয়স্কদের মৃত্যুর জেরে অতিবৃদ্ধ ও দীর্ঘমেয়াদে অসুস্থ মানুষের জন্য ফাইজারের ভ্যাকসিনকে ‘মারাত্মক ঝুঁকি’ হিসেবে অভিহিত করেছে নরওয়ে। ফলে করোনা টিকার সুরক্ষা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে নতুন করে সংশয় দেখা দিয়েছে। 

স্থানীয় সময় শুক্রবার নরওয়েজিয়ান মেডিসিন এজেন্সির চিফ ফিজিশিয়ান সাইগার্ড হোর্তেমো বলেছিলেন, টিকা নেওয়ার পর জ্বর ও বমি বমি ভাবের সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সঙ্গে ‘কিছু কিছু দুর্বল রোগীর ক্ষেত্রে তা ভয়াবহ পরিণতি’ নিয়ে আসতে পারে।

করোনার মহামারি অবসানে তড়িঘড়ি করে টিকার অনুমোদন নিয়ে আগে থেকেই সমালোচনা হচ্ছিল। এমন সময় ইউরোপের দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে টিকার সুরক্ষা নিয়ে এমন সতর্কবার্তা আসলো।

গত ডিসেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ফাইজার এবং জার্মানির গবেষণা প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেকের যৌথ উদ্যোগে তৈরি করোনা ভ্যাকসিন ‘কমিরনাটি’ র প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন নরওয়ের ৩০ হাজারেরও বেশি অধিবাসী। ঝুঁকি বিবেচনায় প্রথম ধাপে দেশটিতে বয়োজ্যেষ্ঠদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হচ্ছিল।