বাইডেনের শপথ ঘিরে নজিরবিহীন নিরাপত্তা, ১২ নিরাপত্তারক্ষীকে অপসারণ

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে বুধবার নজিরবিহীন নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শপথ নিচ্ছেন জো বাইডেন। নবনির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসেরও এদিন শপথ নেওয়ার কথা রয়েছে। ৬ জানুয়ারি মার্কিন পার্লামেন্ট ভবন ইউএস ক্যাপিটলে উগ্র ট্রাম্প সমর্থকদের তাণ্ডবের কথা মাথায় রেখে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে রাজধানী ওয়াশিংটন। তল্লাশি থেকে খোদ নিরাপত্তারক্ষীদেরও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। প্রত্যেকের অতীত রেকর্ড পরীক্ষা করা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে, সম্প্রতি সোশ্যাল নেটওয়ার্ক বা অন্য কোথাও তারা কোনও চরমপন্থী মন্তব্য করেছে কি না। এই পরীক্ষা চালাতে গিয়ে এরইমধ্যে ১২ নিরাপত্তারক্ষীকে অপসারণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার মার্কিন সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, ১২ জন ন্যাশনাল সিকিওরিটি গার্ডকে কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে নিরাপত্তার দায়িত্ব ছিলেন। এর মধ্যে একজনের সঙ্গে চরমপন্থী শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদীদের যোগাযোগ আছে বলে জানানো হয়েছে। আরেকজন সম্প্রতি চরমপন্থী মন্তব্য করেছেন সোশ্যাল নেটওয়ার্কে। বাকি ১০ জনের সঙ্গেও বিভিন্নভাবে চরমপন্থিদের সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের সবাইকে ওয়াশিংটন থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

বুধবারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের জন্য শুধু ওয়াশিংটনেই ২৫ হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। প্রত্যেকের ব্যাকগ্রাউন্ড পরীক্ষা করা হচ্ছে। গোয়েন্দাদের ধারণা, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের মধ্য থেকেই সহিংসতা ছড়াতে পারে। ফলে সামান্য সন্দেহ হলেও নিরাপত্তারক্ষীদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

জো বাইডেন এবং কমলা হ্যারিসের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ঘিরে গোটা দেশেই ট্রাম্পপন্থীরা সহিংস বিক্ষোভ দেখাতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। ওয়াশিংটনে এখনও কারফিউ জারি রয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষকে বাড়ি থেকে বেরুতে নিষেধ করা হয়েছে। রাস্তায় রাস্তায় কংক্রিটের গার্ড ওয়াল রাখা হয়েছে। ন্যাশনাল গার্ড সদস্যরা গোটা শহরে ফ্ল্যাগ মার্চ করছে।

এদিকে মঙ্গলবারই বসেছে সিনেট অধিবেশন। কংগ্রেসে ট্রাম্পের দ্বিতীয়বার অভিশংসনের পর মঙ্গলবারই প্রথম সিনেট বসে। সেখানে ক্যাপিটলে হামলার ঘটনার জন্য রিপাবলিকানরাও ট্রাম্পকে দায়ী করেন। সিনেটের মিচ ম্যাককোনেল বলেন, ট্রাম্পের কথা শুনেই উত্তেজিত জনতা ক্যাপিটলে হামলা চালিয়েছে। সূত্র: ডিডব্লিউ।