যুক্তরাজ্যের নতুন বৈশিষ্ট্যের ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়াতে পারে: ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞ

ইংল্যান্ডের কেন্টে পাওয়া যাওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরনটি বিশ্বজুড়ে জেঁকে বসতে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞ শ্যারন পিকক। জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ ও পরীক্ষাগারের নেটওয়ার্ক (কোভিড-১৯ জিনোমিকস ইউকে কনসোর্টিয়াম) এর এ পরিচালক মনে করেন, কেন্টের ভ্যারিয়েন্ট গোটা যুক্তরাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে এবং তা গোটা বিশ্বে আধিপত্য বিস্তার করবে।

বিশ্বে করোনাভাইরাস জনিত মহামারির মধ্যেই ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডের কেন্টে ভাইরাসটির নতুন একটি স্ট্রেইন শনাক্ত হয় যা অনেক দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম। কেন্টে শনাক্ত হওয়া এ ভ্যারিয়েন্টটি ক্রমাগত অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়াতে শুরু করে এবং এরইমধ্যে ৫০টিরও বেশি দেশে এটি শনাক্ত হয়েছে।

বিবিসির নিউজকাস্ট পডকাস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শ্যারন পিকক বলেন, নতুন ভ্যারিয়েন্টটি দিয়ে ‘দেশ ছেয়ে গেছে’ এবং যে পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে তার ভিত্তিতে বলা যায় এখন এটি ‘বিশ্বকে ছেয়ে ফেলতে যাচ্ছে’।

অধ্যাপক পিকক বলেন, ‘এ মুহূর্তে যে জিনিসটি আমাদের ভাবাচ্ছে তাহলো সংক্রমণ ক্ষমতা। আমরা যদি একবার ভাইরাসটির ওপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আসতে পারি এবং রূপান্তরিত হয়ে এটি যদি রোগাক্রান্ত করার ক্ষমতা না রাখে তবেই আমাদের উদ্বেগের সমাপ্তি ঘটবে। তবে ভবিষ্যতের দিকে তাকালে আমি বুঝতে পারছি যে এ কাজ করতে আমাদের কয়েক বছর লেগে যাবে। আমার মতে, ১০ বছর তো লাগবে।’

বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত যে ভ্যাকসিনগুলো অনুমোদন পেয়েছে তা পুরনো বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইরাসকে মোকাবিলার কথা মাথায় রেখে তৈরি করা। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন, এ ভ্যাকসিন নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেও কাজ করবে, যদিও এ ব্যাপারে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।