মিয়ানমারে গুলির মুখেও অনড় বিক্ষোভকারীরা, আরও ৫ জনের মৃত্যু

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে তিন সপ্তাহ ধরে চলমান বিক্ষোভ দমন করতে বেপরোয়া অভিযানের দ্বিতীয় দিনেও (রবিবার) গুলি চালিয়েছে পুলিশ। এদিন (২৮ ফেব্রুয়ারি) গুলিতে অন্তত চার বিক্ষোভকারী নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। দেশটির একজন চিকিৎসক ও একজন রাজনীতিককে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। এছাড়া রবিবার শিক্ষকদের একটি বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ স্টান গ্রেনেড ছোড়ার পর আরও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি হার্ট অ্যাটাক করেছেন।

১ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ রবিবারও অব্যাহত রয়েছে। বিক্ষোভ দমাতে শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে বড় ধরনের ধরপাকড় অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। বহু বিক্ষোভকারীকে আটক করা হচ্ছে। এমনকি বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে গুলিও ছুড়ছে তারা।

প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে স্টান গ্রেনেড ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেও ব্যর্থতার পর পুলিশ গুলি চালায়। এক ব্যক্তিকে বুকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয়। দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর দাউইয়েও পুলিশ গুলি চালিয়েছে। সেখানে তিন জন নিহত ও বেশ কয়েকজনকে আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় রাজনীতিক কিয়াও মিন হটিক রয়টার্সকে জানিয়েছেন। 

বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটির প্রথম ক্যাথলিক কার্ডিনাল চার্লস মাউং বো টুইটারে লিখেছেন, “মিয়ানমার যুদ্ধক্ষেত্রের মতো হয়ে গেছে”।

এদিকে মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে যে কোনও পদক্ষেপ নিতে শুক্রবার জাতিসংঘকে আহ্বান জানানোর পর বরখাস্ত হয়েছেন ওই সংস্থায় নিয়োজিত দেশটির দূত কিয়াও মোয়ে তুন। তিনি দেশটির জনগণের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রদানে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এছাড়া মিয়ানমার প্রশ্নে জাতিসংঘের এক বিশেষ বৈঠকে সব সদস্য রাষ্ট্রকে অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়ে প্রকাশ্যে বিবৃতি দেওয়ার তাগিদ দিয়েছিলেন তিনি।