মিয়ানমারের বিরুদ্ধে এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার প্রস্তুতি

সেনা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখল ও বিক্ষোভকারীদের দমন-পীড়নের প্রেক্ষাপটে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী পরিচালিত ব্যবসায় বিস্তৃত আকারে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। কূটনীতিক ও দুটি অভ্যন্তরীণ নথির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য ফাঁস করেছে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমারের সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে। নাগরিক অসহযোগ আর নিয়মিত বিক্ষোভে অচল হয়ে পড়েছে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশটি। বিক্ষোভ দমনে সামরিক সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে এখন পর্যন্ত অর্ধশতাধিক নিহতের কথা জানা গেছে। বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ ও জোট ইতোমধ্যে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে।

এদিকে ইইউ-এর গত ৫ মার্চের এক নথিতে বলা হয়েছে, ‘মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর আয় হয় বা তাদেরকে আর্থিকভাবে সহায়তা করে’ এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে আগামী ২২ মার্চ ইইউ’র পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা একমত হতে পারেন।

নথি থেকে জানা গেছে, সেনা পরিচালিত মিয়ানমার ইকোনোমিক হোল্ডিংস লিমিটেড (এমইএইচএল) ও মিয়ানমার ইকোনোমিক করপোরেশনের (এমইসি) ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সম্ভাবনা রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসা খনি থেকে খাবার উৎপাদন পর্যন্ত বিস্তৃত। প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাংকিং ও টেলিযোগযোগ ব্যবসাতেও জড়িত।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাস দেশটির পার্লামেন্টে বলেছেন, মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের কারণে ইইউ’র অর্থনৈতিক অবরোধের অংশ হিসেবে নতুন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

বিক্ষোভকারীরা সেনা শাসনের অবসান এবং অং সান সুচিসহ আটক নেতাদের মুক্তির দাবিতে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।