এ দুই জঙ্গি হামলার ঘটনায় চার হামলাকারীসহ নিহতের সংখ্যা ২৭ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানায় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। এরমধ্যে ১৮টি ভিন্ন দেশের নাগরিক রয়েছেন বলেও নিশ্চিত করা হয়েছে।
শনিবার স্প্লেনডিড হোটেলে জিম্মিদশার অবসান হয়েছে বলে নিরাপত্তা বাহিনীর তরফে ঘোষণা দেওয়ার পর পরই পার্শ্ববর্তী ইয়িবি হোটেলে হামলার খবর পাওয়া যায়। এরপর ওই হোটেলেও অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী।
এর আগে শুক্রবার রাতে বুরকিনা ফাসোর ওয়াগাডিউগিউয়ের স্প্লেনডিড হোটেলে হামলা চালিয়ে সেখানে অবস্থানরতদের জিম্মি করে রাখে বন্দুকধারীরা। দেশটির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছেই অবস্থিত এই হোটেলটিতে জাতিসংঘের কর্মকর্তাসহ বিদেশি নাগরিকরা অবস্থান করে থাকেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মুখোশ পরা কয়েকজন মানুষ হোটেলের বাইরে একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে এবং ফাঁকা গুলি ছুড়তে ছুড়তে হোটেলে ঢুকে পড়ে। রাতভর জিম্মিদশার পর শনিবার সকালে হোটেলটিতে অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। বেশ কয়েক ঘণ্টার অভিযানের পর ১২৬ জন জিম্মিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন তারা।
এর আগে বুরকিনা ফাসোর যোগাযোগমন্ত্রী রেমি ডানডিজিনো জানান, ৬-৭ জন বন্দুকধারী স্প্লেনডিড হোটেলে হামলা চালিয়েছে। তারা অতিথি সেজে ওই হোটেলে উঠেছিলেন বলেও দাবি করেছেন রেমি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কমপাওরে জানান, হামলাকারীদের মধ্যে দুজন কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান ও একজন আরব নাগরিক ছিলেন।
আলকায়েদা সংশ্লিষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠী একিউআইএম বুরকিনা ফাসোর হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে দাবি করেছে জিহাদি সংগঠনগুলোর কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণকারী যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা সাইট ইনটেলিজেন্স গ্রুপ।
উল্লেখ্য, আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোর রাজধানীতে এটিই প্রথম কোনও জঙ্গি হামলা। এর আগে গত নভেম্বরে মালির একটি হোটেলে জঙ্গি হামলার ঘটনায় ২০ জন নিহত হয়েছিলেন। সেই সময়ও হামলার দায় স্বীকার করে একিউআইএমসহ দুটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, আলজাজিরা
/এফইউ/বিএ/