হাফিজ সাইদ খান মোল্লা সাইদ ওরাকাজি নামেও পরিচিত। তিনি আগে তেহরিক ই তালেবান পাকিস্তানের একজন কমান্ডার ছিলেন। এখন তিনি আইএসের সদস্য এবং খোরসানে সংগঠনটির সামরিক ও প্রশাসনিক প্রধান এবং আফগানিস্তান ও পাকিস্তানভিত্তিক সক্রিয়তা চালাচ্ছেন। উল্লেখ্য, খোরসান মধ্য এশিয়ার একটি ঐতিহাসিক অঞ্চল। মধ্যযুগে যেমনটা ছিলো, তেমন করে ইরানের উত্তরপূর্ব অঞ্চল, প্রায় সমগ্র আফগানিস্তান, দক্ষিণ তুর্কমেনিস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, ভারত ও চীনের এক বিস্তীর্ণ অঞ্চল এই খোরসানের অন্তর্ভুক্ত করে তার দখল নিতে চায় আইএস।
দাবিকের সাক্ষাৎকারে হাফিজ সাইদ খান বলেন, ‘একসময় এই পুরো অঞ্চল মুসলমানদের শাসনাধীন ছিলো। পরে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা, গরুর পূজারী ভারতীয় হিন্দু, এবং নাস্তিক চীনারা কাশ্মির-তুর্কিস্থানসহ এর বেশকিছু অঞ্চল দখল করে নেয়। ইসলামি খিলাফতের বিস্তার ঘটাতে এইসব অঞ্চল আইএসের পুনর্দখলে নিয়ে আবার মুসলমানদের শাসন জারি করার আকাঙ্ক্ষার কথা জানান তিনি। তিনি দাবি করেন, ভারত দখল এবং গরুপ্রেমী হিন্দুদের হত্যা করার লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছে আইএস।
দাবিককে সাইদ দাবি করেন, পাকিস্তান-আফগানিস্তানকে ৫টি প্রশাসনিক অঞ্চলে বিভক্ত করেছে আইএস। সেখানে তারা বেসামরিক সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে। ইরাক আর সিরিয়ার মতো করেই সেখানে শরিয়া আইনে শাসন পরিচালনা করার আকাঙ্ক্ষা তাদের। পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের সরকার এবং তালেবান ও লস্কর ই তৈয়বার মতো ইসলামী সংগঠনগুলো খিলাফত প্রতিষ্ঠার বাধা হিসেবেও উল্লেখ করেন তিনি। সূত্র: ডিএনএ
/বিএ/