বিদেশি শিক্ষার্থী ও দক্ষ কর্মীদের জন্য দুয়ার খুললো অস্ট্রেলিয়া

করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণের মধ্যেই বিদেশি শিক্ষার্থী এবং দক্ষ কর্মীদের জন্য সীমান্ত খুলেছে অস্ট্রেলিয়া। শুধু টিকা প্রাপ্তরা বুধবার থেকে দেশটিতে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছেন।

করোনা মহামারির শুরুর পরপরই সীমান্ত বন্ধ করে দেয় দেশটি। প্রায় দুই বছর সীমান্ত উন্মুক্ত করলো। করোনা সংক্রান্ত লকডাউন ও নানা বিধিনিষেধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতি চাঙ্গা করতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে স্কট মরিসন সরকার।

দেশটিতে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় পর্যায়ক্রমে সব কিছু খুলে দেওয়া হচ্ছে। করোনার শুরুর পর বিশ্বের দীর্ঘ সময় লকডাউন জারি করে রাখা দেশ অস্ট্রেলিয়া।

বুধবার 4বিসি রেডিওকে অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, আমরা টিকা দেওয়ায় এগিয়ে আছি। এর অর্থ হচ্ছে আমরা এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারি। আমরা আত্মসম্পর্ণ করবো না।

অস্ট্রেলিয়ার ১৬ ঊর্ধ্বো ৯০ শতাংশকে লোক দুই ডোজ টিকার আওতায় এসেছে। এখন ওমিক্রন সংক্রমণের কারণে বুস্টার ডোজে নজর সরকারের।

২০১৯ সালে দেশটির শিক্ষাখাত অর্থনীতিতে ৩৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার অবদান রেখেছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে দুই লাখ ২৪ হাজার। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে সব কিছুই স্থবির হয়ে পড়ে। বিদেশি শিক্ষার্থী এবং দক্ষ কর্মীদের জন্য দুয়ার খুলায় দেশটির অর্থনৈতিক খাতে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।