পেলোসির পর তাইওয়ানে আরও একদল মার্কিন আইনপ্রণেতা

তাইওয়ান সফরে যাচ্ছেন মার্কিন আইনপ্রণেতাদের একটি প্রতিনিধি দল। অঞ্চলটির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রবিবার ও সোমবার তাদের সেখানে যাওয়ার কথা রয়েছে। রবিবার তাইওয়ানে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের ডি ফ্যাক্টো দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের ১২ দিনের মাথায় সেখানে এ সফরে যাচ্ছেন তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের ডি ফ্যাক্টো দূতাবাস জানিয়েছে, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সফরের অংশ হিসেবেই তাইওয়ান যাচ্ছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। সফরে মার্কিন-তাইওয়ান সম্পর্ক এবং বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অঞ্চলটির নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন তারা।

এর আগে চীনের ‘উসকানিমূলক’ আচরণের প্রতিক্রিয়ায় তাইওয়ানের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার এক বিবৃতিতে নিজ দেশের এমন অবস্থানের কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল বিষয়ক সমন্বয়কারী কার্ট ক্যাম্পবেল। তিনি জানান, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে নতুন একটি বাণিজ্য পরিকল্পনা উন্মোচন করা হবে।

কার্ট ক্যাম্পবেল বলেন, পেলোসির তাইওয়ান সফর ওয়াশিংটনের বিদ্যমান নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এ ইস্যুতে বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে অতিমাত্রায় প্রতিক্রিয়া দেখানোর অভিযোগ করেন তিনি। বাইডেন প্রশাসনের এই কর্মকর্তা বলেন, বেইজিং এই অজুহাত ব্যবহার করে তাইওয়ানের ওপর তীব্র চাপ তৈরির মাধ্যমে স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টা চালিয়েছে। তাদের কর্মকাণ্ড উসকানিমূলক ও নজিরবিহীন।

চীনের আচরণ তাইওয়ান প্রণালীজুড়ে এবং বিস্তৃত অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে বিপন্ন করে তুলবে বলেও মন্তব্য করেন বাইডেন প্রশাসনের এই কর্মকর্তা।