যেখানে আফজাল গুরু ছিলেন, সেখানেই রয়েছেন কানহাইয়া!

কানহাইয়া কুমারযে আফজাল গুরুর ফাঁসির বিরুদ্ধে ‘বিক্ষোভ ও স্লোগান’ দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন, সেই আফজালের সাবেক কারা সেলেই নেহেরু বিশ্ববিদ্যায়ের ছাত্র সংসদ সভাপতি কানহাইয়া কুমারকে রাখা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া খবরটি নিশ্চিত করেছে।
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেফতার হওয়া কানহাইয়া বুধবার আদালতে জামিন আবেদন করেন। তবে সে আবেদন নাকচ করে দিয়ে কানহাইয়াকে ১৪ দিনের বিচারিক হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন নিম্ন আদালত। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, ১৪ দিনের বিচারিক হেফাজতের অংশ হিসেবে কানহাইয়াকে তিহার জেলের নির্জন একটি সেলে রাখা হয়েছে। তিন নাম্বার জেলের ৪ নাম্বার ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে তাকে। আফজাল গুরুকেও ওই তিন নাম্বার জেলেই রাখা হয়েছিল।
সূত্রের বরাতে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৮ টার দিকে কানহাইয়াকে জেলে নিয়ে আসা হয়। অন্তত ৫০ জন পুলিশ তাকে ঘেরাও করে নিয়ে আসেন। এরপর তাকে কয়েদি হিসেবে নিবন্ধিত করা হয় এবং মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়। জরুরি প্রয়োজনে যেন তাকে হাসপাতালে নেওয়া যেতে পারে এজন্য ৪ নাম্বার ওয়ার্ড তার জন্য নির্ধারিত রাখা হয়েছে। কানহাইয়াকে সার্বক্ষণিক কড়া নজরে রাখা হবে। কারাগারের বাইরেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
কারা কর্মকর্তাদের একজন টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানান, ‘জেলের প্রবেশ পথের কাছাকাছি একটি সেল কানহাইয়ার জন্য ফাঁকা করা হয়। তাকে বহুস্তরের নিরাপত্তায় রাখা হবে। কেবল দিল্লির কারা কর্তৃপক্ষ ও কর্মীরাই তার সেলের আশেপাশে যেতে পারবেন। পূর্ব সতর্কতা হিসেবে তার খাবারও পরীক্ষা করা হবে।’

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, কানহাইয়ার মাঝে আত্মহত্যার প্রবণতা আছে কিনা সে ব্যাপারেও পরীক্ষা হবে।

দিল্লিতে ভারতের পার্লামেন্ট ভবনে ২০০১ সালের হামলায় সংশ্লিষ্টতার দায়ে ২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তিহার জেলে ফাঁসি কার্যকর করা হয় আফজাল গুরুর। তবে আফজাল গুরুর এ ফাঁসিকে বিতর্কিত উল্লেখ করে তার নামে বারবার স্লোগান তুলেছে বিভিন্ন সংগঠন। এ বছর জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে একদল শিক্ষার্থী আফজাল গুরুর ফাঁসি কার্যকরের বর্ষপূর্তি পালন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে আফজাল গুরুকে ফাঁসিতে ঝোলানোর বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া এবং রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেন বিজেপি নেতা মহেশ গিরি ও বিজেপির ছাত্র শাখা এবিভিপি। আর এর পরই গ্রেফতার হন কানহাইয়া। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

/এফইউ/বিএ/