দেড় মাসেই এক লাখেরও বেশি শরণার্থীর ইউরোপে প্রবেশ

ইউরোপে বিপুল অভিবাসী ও শরণার্থীর প্রবেশচলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ১ লাখেরও বেশি শরণার্থী এবং অভিবাসী ইউরোপে প্রবেশ করেছে। আর এ সংখ্যা আগের বছরের প্রথম ছয় মাসে ইউরোপে প্রবেশকারীদের চেয়ে তিন গুণ বেশি। আর চলতি বছরের প্রথম ৬ সপ্তাহে সাগরপথে ইউরোপে পাড়ি দেওয়ার সময় অন্তত ৪১১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর নতুন প্রতিবেদনে শরণার্থীদের এই ঢল আরও বাড়ার আভাস দেওয়া হয়েছে।
আইওএমের বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানায়, হিসেব অনুযায়ী, গত দুই মাসে অন্তত ১ লাখ ২ হাজার ৫শ অভিবাসী ও শরণার্থী গ্রীক দ্বীপ সামোস, কস এবং লেসবসে প্রবেশ করেছে। আর একইসময়ে ইতালিতে প্রবেশ করেছে ৭,৫০০ জন। অথচ গত বছরের প্রথম ছয় মাসেও এতো বেশি সংখ্যক অভিবাসী ইউরোপে প্রবেশ করতে পারেনি। বসন্ত চলে আসায় এবং আবহাওয়া পরিস্থিতি ভালো হয়ে ওঠার কারণে এ বছর ইউরোপে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ঢল আরও বেড়ে যেতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আইওএম।  
আইওএম জানায়, ইউরোপে আগতদের প্রায় ৫০ শতাংশই সিরীয় আর ২০ শতাংশ আফগান নাগরিক।
দুই মাসেরও কম সময়ে ইউরোপে ১ লাখেরও বেশি অভিবাসীর প্রবেশ

এদিকে মঙ্গলবার জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এর এক জরিপে বলা হয়, জানুয়ারিতে গ্রিসে প্রবেশকারী সিরীয়দের মধ্যে ৯৪ শতাংশ গৃহযুদ্ধ থেকে বাঁচতে সাগরপথে ঝুঁকি নিয়ে অন্য দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। আর ইউরোপে প্রবেশকারী আফগানদের ৭১ শতাংশ সংঘাত আর সহিংসতা থেকে পালিয়ে বাঁচাকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

এমন পরিস্থিতিতে অভিবাসীদের ঢল সামলাতে কড়া অবস্থানে রয়েছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। এই প্রেক্ষাপটে অভিবাসীদের ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগ উঠছে। মঙ্গলবার গ্রীক পুলিশ টহল দিয়ে মেসিডোনিয়া সীমান্ত থেকে শত শত আফগান অভিবাসীকে সরিয়ে দিয়েছে এবং অ্যাথেন্সে সেনানির্মিত ক্যাম্পে পাঠিয়েছে। চিকিৎসা সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান মেডিসিন্স স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্সের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় যে, তাদের চিকিৎসক দল পোলিকাস্ত্রো শহরে পুলিশরা আফগান শরণার্থীকে লাথি মারার দৃশ্য পর্যন্ত দেখেছেন।

এদিকে শরণার্থী ও অভিবাসী শিবির গুড়িয়ে দেওয়ার ব্যাপারে ফরাসি সরকারের নেওয়া একটি পরিকল্পনাকে স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করেছেন দেশটির আদালত। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

/এফইউ/বিএ/