সম্ভাব্য যৌনমিলনে জিকা সংক্রমণের ১৪টি ঘটনা তদন্ত করছে যুক্তরাষ্ট্র

জিকা ভাইরাসের কারণে মাইক্রোসেফালিতে আক্রান্ত শিশু জন্ম নিতে পারে বলে ধারণা করা হয়যৌনমিলনের মাধ্যমে জিকা ভাইরাস ছড়িয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে এমন ১৪টি সংক্রমণের ঘটনা তদন্ত করছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। সংক্রমিতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন গর্ভবতী নারীও রয়েছেন বলে জানিয়েছে রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র (সিডিসি)।
যৌন সংসর্গের মাধ্যমে কিভাবে জিকা ভাইরাস ছড়াতে পারে তা নিয়ে নির্দেশনা প্রকাশের সময় তদন্তের খবরটি জানানো হয়। নির্দেশনায় জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রয়েছে এমন অঞ্চলে যৌন সংসর্গের সময় কনডম ব্যবহার কিংবা সম্ভব হলে যৌন সংসর্গ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে সিডিসি কর্তৃপক্ষ।
অন্য কোনও দেশে ভ্রমণ করা ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রের এক ব্যক্তির দেহে জিকা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পরই এই নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়। জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত সঙ্গীর সঙ্গে ‘যৌন সংসর্গের’ মাধ্যমে ওই রোগী জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হয়। আক্রান্ত ব্যক্তি জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রয়েছে এমন দেশে ভ্রমণ না করলেও যার সঙ্গে তার যৌন সম্পর্ক হয়েছে তিনি ভেনেজুয়েলা ভ্রমণ করে এসেছেন।
আক্রান্ত নারীদের মাধ্যমে সঙ্গীও জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন কিনা সে ব্যাপারে প্রমাণ না পাওয়া গেলেও এ ব্যাপারে আরও গবেষণার প্রয়োজন বলে মনে করেন মার্কিন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

উল্লেখ্য, এডিস প্রজাতির মশা থেকে জিকা ভাইরাস মানুষের দেহে ছড়িয়ে থাকে। জ্বর, জয়েন্ট পেইনসহ ছোটখাটো কিছু শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয় এ ভাইরাসের কারণে। আবার তা এক সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে সেরেও যায়। তবে বিপত্তি তৈরি হয় গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে। গর্ভাবস্থায় জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মাইক্রোসেফালি তথা বিকৃত ও ছোট মাথা নিয়ে শিশু জন্ম নিতে পারে বলে ধারণা করা হয়। এসব শিশুর বুদ্ধিমত্তার ঘাটতি থাকে, শারীরিক বৃদ্ধি কম হয় এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

২০১৫ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ব্রাজিলে পনের লাখের মতো মানুষ জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে৷ বর্তমানে জিকা ভাইরাসের কোন ভ্যাক্সিন নেই৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ধারণা করছে, ভ্যাক্সিন তৈরিতে আরো ১৮ মাসের মতো সময় লাগবে৷ সূত্র: বিবিসি, আলজাজিরা

/এফইউ/