সম্মুখযুদ্ধেও লড়বেন ভারতের সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত নারীরা

ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর নারী সদস্যরা সন্মুখযুদ্ধে অংশ নেবেনপুরুষ আধিপত্যের সশস্ত্র বাহিনীতে নিয়োজিত নারীদের সমতা নিশ্চিত করার অংশ হিসেবে তিন বাহিনীতে নিয়োজিত নারী সদস্যদের রণাঙ্গনে পাঠানোর  ঘোষণা দিয়েছে ভারত। গত মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বাজেট অধিবেশনের আগে ভারতের লোকসভা ও রাজ্যসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে সশস্ত্র বাহিনীতে লড়াকু নারী সেনা নিয়োগ দেওয়া হবে।
বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম সামরিক বাহিনীর এ দেশটিতে আগেও রণাঙ্গনে নারী সেনা পাঠানোর প্রস্তাব উঠেছিল। তবে সম্মুখযুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার মতো শারীরিক ও মানসিক ক্ষমতা নারীদের নাও থাকতে পারে এমন সংশয় জানিয়ে সে সময় তা বাতিল হয়ে গিয়েছিল।
মঙ্গলবারের ভাষণে প্রণব মুখার্জি বলেন, ‘আমাদের সরকার সেনাবাহিনীতে শর্টসার্ভিস কমিশন কর্মকর্তা হিসেবে নারীদের যোগদানের সুযোগ দিয়েছে। এছাড়া বিমান বাহিনীতে ফাইটার পাইলট হিসেবে যোগদানেরও সুযোগ পাচ্ছেন তারা। ভবিষ্যতে আমাদের সরকার সশস্ত্র বাহিনীর লড়াকু বহরেও নারীদের নিয়োগ দেবে।’
এদিকে প্রণব মুখার্জির বক্তব্যকে ভারতের নারী অধিকারকর্মীরা স্বাগত জানালেও তাদের আশঙ্কা, সশস্ত্র বাহিনীতে সত্যিকারের সমতা আনার প্রক্রিয়া খুব ধীরে হতে পারে।

উল্লেখ্য, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সশস্ত্র বাহিনীতে নারীদের নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকলেও কেবল অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো গুটিকয়েক দেশের নারীরা সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিতে পারেন।

চিকিৎসা বহরের বাইরে ভারত তার সামরিক বাহিনীতে প্রথম নারী সদস্য নিয়োগ শুরু করে ১৯৯২ সালে। তারপরও তিন বাহিনীতে ১০ লাখেরও বেশি জনবলের মধ্যে নারীদের সংখ্যা মাত্র আড়াই শতাংশ। এদের বেশিরভাগই প্রশাসনিক ও গোয়েন্দা কর্মকর্তা, চিকিৎসক, সেবিকা ও দন্ত চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত।

গত বছরের অক্টোবর মাসে লড়াকু সদস্য হিসেবে নারীদের নিয়োগের ব্যাপারে প্রথম পদক্ষেপ নেয় ভারত সরকার। এরই অংশ হিসেবে বিমান বাহিনীতে ফাইটার পাইলট হিসেবে তাদের নিয়োগ দিতে শুরু করে। ২০১৭ সালের জুন মাসে তারা প্রথম যুদ্ধবিমান ওড়াবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

/এফইউ/বিএ/