বিশ্ববিদ্যালয়ে আগ্নেয়াস্ত্র বহনের আইন, যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষকের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ডিন অঙ্গরাজ্যটির নতুন অস্ত্র আইনের বিরোধিতা করে পদত্যাগ করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। নতুন আইনে বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈধ অস্ত্র বহন করা যাবে। এর সমালোচনায় বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থাপত্যকলার ডিন ফ্রেডরিখ স্টেইনার বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্ত্র বহন করতে দেওয়া উচিৎ নয়। এই নীতি উচ্চশিক্ষার জন্য যথাযথ নয়, আর তাতে কোনও যৌক্তিক চিন্তার প্রতিফলন ঘটেনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্ত্র বহনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ
অনেক উচ্চশিক্ষা কর্মকর্তা এবং শিক্ষার্থী এই আইনের বিরোধিতা করছেন। তাদের মতে, এর ফলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে চাইবে না। অপরদিকে, ওই আইনের সমর্থকদের দাবি, আত্মরক্ষার জন্য এই আইন জরুরী, যা নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার।
স্টেইনার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে বলেন, ‘আমি এটি বিশ্বাস করেই বড় হয়েছি যে, অস্ত্রের জন্য একটি পৃথক যথাযথ স্থান রয়েছে। আর তা নিশ্চয় উচ্চশিক্ষার স্থান নয়। তিনি আরও বলেন, আমি যদি এর বিরুদ্ধে কথা না বলি, তার মানে হলো, আমি এমন একটি আইন মান্য করছি, যার প্রতি আমার আস্থা নাই’।

নতুন অস্ত্র আইনের সমর্থকদের উল্লাস

স্টেইনার ২০০১ সাল থেকে টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, আগস্টে ওই আইন কার্যকর হলে তিনি পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যাবেন। উল্লেখ্য, টেক্সাস রাজ্য সরকার গত বছর ওই অস্ত্র আইন পাস করেছিল। যা আগামী আগস্টে কার্যকর হবে। তবে নতুন আইন অনুসারে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চাইলে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্ত্র বহন করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রেসিডেন্ট গ্রেগ ফেনভেজ জানিয়েছেন, তিনি ক্যাম্পাসে অস্ত্র বহন করার পক্ষে নন। তবে আইনের প্রতি তিনি দায়বদ্ধ। তিনি বলেছেন, ওই আইনের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার মান ধরে রাখাটা আরও কষ্টকর হবে। সূত্র: বিবিসি।

/এসএ/