দিল্লি সরকার গঠিত তদন্ত দলের প্রতিবেদনে বলা হয়, নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দেওয়া হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এরইমধ্যে বেশ কয়েকজনকে শনাক্ত করেছেন। তবে কানহাইয়া কুমার যে স্লোগান দিয়েছেন সে ব্যাপারে প্রত্যক্ষ্যদর্শীর বর্ণনা কিংবা ভিডিও পাওয়া যায়নি।
তদন্তকারীরা জানান, গত ৯ ফেব্রুয়ারি আফজাল গুরুর ফাঁসির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অনুষ্ঠানের ৭টি ভিডিও পাওয়া গেছে যেগুলো পরে হায়েদ্রাবাদভিত্তিক ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়। এরমধ্যে তিনটি সাজানো ছিল যার একটি টিভি চ্যানেলের ক্লিপ।
সঞ্জয় কুমার বলেন, ‘বেশ কয়েকটি ভিডিওতে উমর খালিদকে দেখা গেছে। আর কাশ্মির ও আফজাল গুরুর প্রতি তার সমর্থনের কথা আগে থেকেই সবার জানা। তিনিই ওই বিক্ষোভের আয়োজক। তার ভূমিকার ব্যাপারে আরও বিস্তারিত তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।’
উল্লেখ্য গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী উমর খালিদ ও অনির্বাণ ভট্টাচার্য। পরে তাদের রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার দেখানো হয়।
৯ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে আফজাল গুরুর সমর্থনে আয়োজিত বিতর্কিত কর্মসূচিতে দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে ১২ ফেব্রুয়ারি কানহাইয়া কুমারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাকে পুলিশি রিমান্ডে রাখা হয়। পরে আদালত তাকে ২ মার্চ পর্যন্ত কারাগারে পাঠান। এর মধ্যে ২৫ ফেব্রুয়ারি পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে রিমান্ডে নেওয়া হয়। পরদিন পুনরায় তাকে তিহার জেলে পাঠানো হয়।
পুলিশের দাখিল করা অভিযোগে বলা হয়েছে, কানহাইয়া শুধু দেশবিরোধী স্লোগানই দেননি বরং ওই বিতর্কিত কর্মসূচির আয়োজকদেরও একজন ছিলেন। রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে কানহাইয়া কুমারকে গ্রেফতারের বিরুদ্ধে তুমুল প্রতিবাদের মুখে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি দিল্লি সরকার ওই তদন্ত দলটি গঠন করে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
/এফইউ/