মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থিতা বাছাই

শনিবারের বাছাইয়ে হিলারি-ট্রাম্পের আরও এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা

nonameমার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থিতা বাছাইয়ে শনিবার ডেমোক্র্যাটরা ৩টি এবং রিপাবলিকানরা ৪ টি অঙ্গরাজ্যে পছন্দের প্রার্থীদের বাছাই করবেন। সবশেষ জরিপগুলোর বরাতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, প্রার্থিতার লড়াইয়ে এগিয়ে থাকা ডোনাল্ড ট্রাম্প ও হিলারি ক্লিনটন শনিবার রাতে তাদের অবস্থান আরও শক্ত করে নিতে পারেন।
শনিবার ডেমোক্র্যাটরা কানসাস ও নেব্রাস্কায় ককাস এবং লুইজিয়ানায় প্রাইমারির মাধ্যমে পছন্দের প্রার্থী বাছাই করবেন। আর কানসাস, কেনটুকি আর মেইনের ককাস এবং লুইজিয়ানার প্রাইমারির মাধ্যমে পছন্দের প্রার্থী নির্ধারণ করবেন রিপাবলিকানরা।
উল্লেখ্য, ‘সুপার টিউসডে’তে প্রতিদ্বন্দ্বী বার্নি স্যান্ডার্সের বিরুদ্ধে হিলারির সাত জয়ের পর ডেমোক্র্যাটদের অনেকেই তাকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ভাবছেন। কারণ তারা মনে করেন তিনি প্রগতিশীলদের নিজের কাছে টানতে পারেছেন। তবে নিজের রাজ্য ভারমন্টসহ চার রাজ্যে জয়ী হওয়ায় এখনও লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন স্যান্ডার্স।
ডেলিগেট সমর্থনের ক্ষেত্রে স্যান্ডার্স থেকে হিলারি অনেক এগিয়ে রয়েছেন। হিলারির যেখানে ১,০০১ জন ডেলিগেটের সমর্থন রয়েছে, সেখানে বার্নি স্যান্দার্সের রয়েছে মাত্র ৩৭১ জনের সমর্থন।
লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যে কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের সমর্থন রয়েছে হিলারির দিকে। তবে অন্যান্য প্রাইমারিগুলোতে হিলারি ও স্যান্ডার্সের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে বলে বিশ্লেষকদের মতামত। শনিবার ১০৯ জন ডেমোক্র্যাট ডেলিগেটের সমর্থন নেওয়ার সুযোগ থাকছে। প্রার্থী বাছাই নিশ্চিত করতে হিলারির আরও ১ হাজার ১৩৭ জন ডেলিগেটের সমর্থন প্রয়োজন।

অন্যদিকে, ‘সুপার টিউসডেতে’ গুরুত্বপূর্ণ ভার্জিনিয়া এবং ম্যাসাচুসেটসসহ সাত রাজ্যে জয়ী ট্রাম্পের ধারে কাছেও কেউ নাই। তবে টেক্সাস,আলাস্কা ও ওকলাহোমাতে বিজয় অর্জন করেছেন সিনেটর টেড ক্রুজ। আর সিনেটর রুবিও,যাকে অধিকাংশ রিপাবলিকান নেতা সবচেয়ে ‘নির্বাচনযোগ্য প্রার্থী’ হিসেবে মনে করেছেন, তিনি সান্ত্বনা পুরস্কার হিসেবে শুধু মিনেসোটায় সামান্য ব্যবধানে জয় লাভ করেছেন।

ট্রাম্পের প্রয়োজন আরও ৯০৮ জন ডেলিগেটের সমর্থন। শনিবার সুযোগ থাকছে ১৫৫ জন ডেলিগেটের সমর্থন নেওয়ার।

এদিকে, বেন কারসন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের দৌড় থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তিনি রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। ওয়াশিংটন ডিসির কাছে কনজারভেটিভ পলিটিক্যাল অ্যাকশন কনফারেন্সে কারসন বলেন, ‘আমি নির্বাচনী প্রচারণা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। এখানে প্রচুর মানুষ আছে যারা আমাকে ভালবাসে, কিন্তু তারা শুধু আমার জন্য ভোট দেবে না।’

এ সপ্তাহের শুরুতেই সরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কারসন। তখন তিনি বলেছিলেন, তিনি নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যত দেখতে পাচ্ছেন না। সূত্র: বিবিসি।

/এসএ/বিএ/