২০ বছরে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণের হারে যৎসামান্যই অগ্রগতি: আইএলও

গবেষণায় দেখা যায়, পুরুষের চেয়ে সারাদিনে নারীদেরই বেশি কাজ করতে হয়গত ২০ বছরে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণের হারে সামান্যই পরিবর্তন হয়েছে। ১৯৯৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণের হারে নারী-পুরুষের ব্যবধান মাত্র ০.৬ শতাংশ কমেছে। ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)’র এক প্রতিবেদনে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণের পরিসংখ্যান তুলে ধরে এমন উদ্বেগ জানানো হয়েছে।


কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ নিয়ে ১৭৮টি দেশের তথ্য বিশ্লেষণ করে আইএলও’র প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণের হার পুরুষের তুলনায় ২৫.৫ শতাংশ কম। আর এ হার ২০ বছর আগের হারের চেয়ে মাত্র ০.৬ শতাংশ কম।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে নারীরাই বেশি বেকারত্বে ভোগেন। বিশ্বজুড়ে নারী বেকারের হার ৬.২ শতাংশ যেখানে পুরুষদের বেকারত্বের হার ৫.৫ শতাংশ। চাকরির অভাবে প্রায়ই নারীদের নিম্ন মানের চাকরিতে যোগ দিতে হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, উচ্চ ও নিম্ন আয়-সবধরনের আয়ের দেশেই নারীর গৃহস্থালী কাজের জন্য কোনও পারিশ্রমিক হিসেব করা হয় না। মূলত, নারীরা কর্মক্ষেত্রে ও গৃহস্থালী কাজ মিলিয়ে পুরুষের চেয়ে বেশি পরিশ্রম করে থাকেন।
প্রতিবেদনটি প্রকাশের সময় আইএলও প্রধান গুই রাইডার বলেন, 'এর মধ্য দিয়ে দেখা যায় ‘নৈতিক কিংবা শালীন’ চাকরি খুঁজে পেতে এবং তা ধরে রাখতে নারীদেরকে ব্যাপক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়। গোটা কর্মজীবনেই তাদেরকে প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে লড়তে হয়। ১৯৯৫ সাল থেকে নারীদের কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণের ব্যাপারে যে অগ্রগতি হয়েছে তা একেবারেই প্রান্তিক পর্যায়ে।'

নারী দিবস উপলক্ষে আইএলও ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান তাদের গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অডিট ও ট্যাক্স ফার্ম গ্র্যান্ট থর্নটনের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৫ বছরে বিশ্বজুড়ে ঊর্ধ্বতন ভূমিকায় নারীর অংশগ্রহণের হার ৩ শতাংশ বেড়ে ২৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।  

শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীর ভূমিকায় নারীর অংশগ্রহণের হারের দিক দিয়ে এবার শীর্ষস্থানে রয়েছে রাশিয়া। এর পর পরই রয়েছে ফিলিপাইন ও লিথুয়ানিয়া। আর তালিকায় সবচেয়ে নিচে রয়েছে জাপানের নাম। সূত্র: বিবিসি

/এফইউ/