প্লুটোতে কামড়ের চিহ্ন!

প্লুটোর পৃষ্ঠে কামরসদৃশ দাগ পেয়েছে নাসাবামনগ্রহ প্লুটোর পৃষ্ঠভাগে ‘কামড়ের চিহ্নের’ মতো বিশাল আকারের একটি আজব ধরনের দাগ শনাক্ত করার দাবি করেছেন নাসার নিউ হরাইজন্স মিশনের বিজ্ঞানীরা। তাদের ধারণা, কঠিন পদার্থ থেকে সরাসরি গ্যাসে রূপান্তরিত হওয়ার প্রক্রিয়া (সাবলিমেশন) চলার সময় দাগটি তৈরি হয়েছে।
নাসার তথ্য অনুযায়ী নিউ হরাইজন্সের ধারণকৃত ছবিটি ৪৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ৪১০ কিলোমিটার চওড়া। প্লুটোর প্রায় ৩৩,৯০০ কিলোমিটার ওপর থেকে নাসার ছবিটি ধারণ করা হয়।
নাসার বিজ্ঞানীদের ধারণা, মিথেন আইসসমৃদ্ধ প্লুটোর পৃষ্ঠভাগ ক্রমাগত গ্যাসে রূপান্তরিত হয়ে বায়ুমণ্ডলে মিশে যাচ্ছে এবং নিচে পানি-বরফের স্তর তৈরি করছে।
সাধারণত পৃথিবী সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতার কারণে হিমায়িত পানি বা বরফ-পানি (ওয়াটার আইস) গলে তরলে পরিণত হয়, তারপর তা বায়বীয় পদার্থে পরিণত হয়। কিন্তু প্লুটোর ক্ষেত্রে দেখা গেছে সেখানকার চরম তাপমাত্রায় বরফ পানিতে পরিণত না হয়ে সরাসরি গ্যাসে রূপান্তরিত হচ্ছে।
প্লুটোর পিরি প্লানিশিয়া নামে পরিচিত পশ্চিম সমভূমির পশ্চিম গোলার্ধে দাগটি শনাক্ত করা হয়। আর পিরি প্লানিশিয়ার নিচে রয়েছে বেগা টেরা নামে পরিচিত আরেকটি পুরনো খাদ। পিরি প্লানিশিয়া সমভূমি থেকে ভেগা টেরা খাদটি মূলত পিরি রুপেস নামের একটি পাহাড়ি ঢাল দিয়ে বিভক্ত। কিছু পাহাড়ি ঢাল আবার ভেঙে পড়ে বিচ্ছিন্ন কিছু পর্বত তৈরি করেছে। আর তা ছবিতে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
নাসার গবেষকদের মতে, প্লুটোর অন্যান্য অঞ্চল থেকে পিরি প্লানিশিয়ার পৃষ্ঠভাগ অনেক বেশি পানি-বরফে সমৃদ্ধ। সূত্র: পিটিআই, জি নিউজ, টেক টাইমস
/এফইউ/বিএ/