মার্কিন অভিযোগ কেবল একটি চুক্তিকে ঘিরে: আদানির শীর্ষ কর্মকর্তা 

ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ শুধু আদানি গ্রিন এনার্জির একটি চুক্তিকে ঘিরেই সীমাবদ্ধ ও আদানি গ্রুপের অন্য কোম্পানির বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। যুক্তরাষ্ট্রে আদানির বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর শনিবার (২৩ নভেম্বর) এই মন্তব্য করেছেন গ্রুপের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) জুগেশিন্দর সিং। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

তিনি বলেছেন, আদানি গ্রুপের ১১টি পাবলিক কোম্পানির একটিও এই মামলার আওতায় নেই বা কোনও অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত নয়। অভিযোগ শুধু আদানি গ্রিনের একটি চুক্তি সম্পর্কিত, যা আদানি গ্রিনের মোট ব্যবসার ১০ শতাংশের মতো।

বুধবার আদানিসহ সাতজনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা করা হয়। ২৬ কোটি ৫০ লাখ ডলারের একটি চুক্তি পেতে ভারতীয় কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে অস্বীকার করেছেন আদানি।

মার্কিন প্রসিকিউটরদের অভিযোগ অনুযায়ী, আদানি গ্রিনের বন্ড ইস্যুতে ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া হয়েছে।

জুগেশিন্দর সিং বলেছেন, মামলার বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। অনুমোদন পেলে আমরা বিস্তারিত বক্তব্য দেব।

মামলাটি আদানি গ্রুপের জন্য বড় একটি ধাক্কা হয়ে এসেছে। এর আগে, গত বছর আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে অফশোর ট্যাক্স হ্যাভেনের অপব্যবহার ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তুলেছিল হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ, যা গ্রুপটি অস্বীকার করেছে।

ঘুষের মামলার কারণে আদানি গ্রুপের শেয়ারের দাম দ্রুত কমে গেছে। এদিকে, কিছু আন্তর্জাতিক ব্যাংক নতুন ঋণ প্রদান সাময়িকভাবে স্থগিত করার কথা বিবেচনা করছে। কেনিয়া ইতোমধ্যে আদানির সঙ্গে ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের দুটি চুক্তি বাতিল করেছে।

অভিযোগে সাগর আদানির নামও উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি আদানি গ্রিনের একজন পরিচালক ও গৌতম আদানির পরিবারের সদস্য। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি মোবাইল ফোনে ভারতীয় কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার বিষয়টি তদারকি করতেন।

ঘুষের মামলাটি আদানি গ্রুপের সুনাম ও ব্যবসায়িক স্থিতিশীলতার ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলছে। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের পর থেকে গ্রুপের আর্থিক কার্যক্রমের স্বচ্ছতা নিয়ে বিশ্বব্যাপী বিতর্ক শুরু হয়েছে।