উত্তর কোরিয়ার ওপর নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক পারমাণবিক ও মিসাইল পরীক্ষার বিপরীতে দেশটির ওপর আবারও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। উত্তর কোরিয়া সরকারের এবং কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টির কিছু নির্দিষ্ট লেনদেনের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। একজন মার্কিন শিক্ষার্থীকে কঠোর সাজা দেওয়ার একদিনের মাথায় এমন সিদ্ধান্ত নিল যুক্তরাষ্ট্র।

কিম জং উন

হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জোস আর্নেস্ট সাফ জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক মহল উত্তর কোরিয়ার এই অবৈধ পরমাণু ব্যবহার কিছুতেই মেনে নেবে না। এছাড়া, উত্তর কোরিয়ায় সাজাপ্রাপ্ত মার্কিন নাগরিক অটো ওয়ার্মবিয়ারকে শীঘ্রই মুক্তি দেয়ার জন্য তাগিদ দিয়েছে হোয়াইট হাউজ। উত্তর কোরিয়া মার্কিন এই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ অভিযোগ এনে তাকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে উত্তর কোরিয়া।

গত জানুয়ারিতে উত্তর কোরিয়া ভ্রমণে গিয়ে পিয়ংইয়ং থেকে রাজনৈতিক তথ্যচুরির চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ এনে মার্কিন যুবককে এই শাস্তি দেয়া হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের লক্ষ্যে মার্কিন নাগরিকদেরকে দাবার গুঁটির মতো ব্যবহার করছে উত্তর কোরিয়া। মার্কিন শিক্ষার্থীকে মুক্তি দেবার জন্য তাগিদ দিয়েছেন হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জোস আর্নেস্ট।

আর্নেস্ট বলেছেন, ‘যে অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে সাজা দেয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং পৃথিবীর কোনো দেশে এ রকমটা নেই। সুতরাং এটি এখন স্পষ্ট যে, উত্তর কোরিয়া তার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্য মার্কিন এই নাগরিককে গুঁটি হিসেবে ব্যাবহার করেছে।’

অটো ওয়ার্মবিয়ার

এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু বোমা পরীক্ষার বিপরীতে ২ মার্চ নিরাপত্তা পরিষদ সর্বসম্মতিক্রমে উত্তর কোরিয়ার ওপর এক কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ওই নিষেধাজ্ঞায় প্রথমবারের মতো উত্তর কোরিয়ায় যাওয়া বা দেশটি থেকে আসা সব কার্গো জাতিসংঘের সদস্য দেশ কর্তৃক তল্লাশি করার বিধান রাখা হয়। সেই সাথে নতুন করে ১৬ জন ব্যক্তি এবং ১২টি সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। এছাড়া উত্তর কোরিয়ার ওপর আরোপ করা চলমান অস্ত্র নিষেধাজ্ঞাকে বিস্তৃত করে দেশটির কাছে ক্ষুদ্র আকারের অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। সূত্র: বিবিসি।  

/এসএ/বিএ/