উল্লেখ্য, এতোদিন হাইকোর্টের নয় সদস্যের বেঞ্চের পাঁচ জনই ছিল রক্ষণশীল। গত ১৩ ফেব্রুয়ারিতে ‘রক্ষণশীল’ হিসেবে পরিচিত বিচারপতি অ্যান্তনিন স্কালিয়া মারা যাওয়ার পর আদালতে শূন্যতা সৃষ্টি হয়। স্কালিয়ার মৃত্যুতে নয় সদস্যের সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতি প্যানেলে এখন ৪-৪ সমতা বিরাজ করছিল। শূন্য পদে নতুন বিচারপতি নিয়োগে এই ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে আশঙ্কায় রিপাবলিকানরা ওবামার প্রচেষ্টা রুখে দিতে চাইছিল।
নির্দিষ্ট সময়ে শূন্যপদে বিচারপতি নিয়োগ প্রেসিডেন্টের সাংবিধানিক দায়িত্ব বলে ওবামা যুক্তি দিয়ে আসলেও তার এ উদ্যোগের ঘোর বিরোধিতা করে আসছিলেন সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিকান সদস্যরা। তাদের মতে, আগামী নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির শূন্যপদ পূরণ করা উচিত। কিন্তু সে কথায় পাত্তা না দিয়ে ওবামা নতুন বিচারপতির অনুমোদন দিলেন।
এই প্রেক্ষাপটেই ওবামা রিপাবলিকান সিনেটরদের হুঁশিয়ার করে বলেছেন, ‘নতুন বিচারপতিকে ঘিরে রিপাবলিকান সিনেটররা নেতিবাচক অবস্থান নিলে তা হবে মার্কিন গণতন্ত্রের ভিত্তির ওপর একটি বড় আঘাত। তেমনটা করা হলে সুপ্রিম কোর্টের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হবে, আমাদের বিচার ব্যবস্থার প্রতি অনাস্থা সৃষ্টি হবে, আমাদের গণতন্ত্রের ভিত্তি দূর্বল হবে’।
উল্লেখ্য ওবামা মনোনীত নতুন বিচারপতি ৬৩ বছর বয়সী গারল্যান্ড ওয়াশিংটন আপিল কোর্টের প্রধান বিচারক এবং সাবেক কৌঁসুলি। এছাড়াও প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সময় বিচার বিভাগের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সৎ বিচারক হিসেবে তার স্বীকৃতি রয়েছে ডেমোক্র্যাট-রিপাবলিকান দুই শিবিরেই। ওবামার অনুমোদন পাওয়ার পর বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষার অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
মনোনয়নের ঘোষণা দিয়ে হোয়াইট হাউজের রোজ গার্ডেনে ওবামা বলেন, ‘আমি একজন প্রার্থীকে বাছাই করেছি। তিনি এমন একজন মানুষ যিনি ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান দুপক্ষেরই শ্রদ্ধার পাত্র। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি নম্রতা, ভদ্রতা, সততা, ন্যায়পরায়নতার সাক্ষর রেখেছেন। এতসব গুণের কারণেই তিনি সবার কাছে সমাদৃত।’ ওবামা বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের কাজেও তিনি একই বৈশিষ্ট্যের সাক্ষর রাখবেন। অবিলম্বেই তিনি সেখানে কাজ করতে একান্তভাবে প্রস্তুত।’ সূত্র: বিবিসি, গার্ডিয়ান
/বিএ/