মিয়ানমারের গুরুত্বপূর্ণ তিন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে সেনাবাহিনী

মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সংসদমিয়ানমারে সামরিক জান্তা সরকারের অধীনে পরিচালিত মন্ত্রণালয়ের সংখ্যা ৩৬ থেকে কমিয়ে মন্ত্রণালয়ের সংখ্যা ২১টিতে নামিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির নবনির্বাচিত সরকার। বেশ কিছু মন্ত্রণালয় একীভূত করারও পরিকল্পনা করা হয়েছে। অবশ্য মন্ত্রণালয়ের সংখ্যা কমিয়ে আনা হলেও তালিকায় নতুন করে যোগ হচ্ছে জাতিগোষ্ঠী বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তবে সামরিক শাসনের অবসান হলেও গুরুত্বপূর্ণ তিন মন্ত্রণালয় সেনাবাহিনীই পরিচালনা করবে।
পার্লামেন্টে ঘোষিত সংস্কার পরিকল্পনার আওতায় বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়গুলোকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়। পার্লামেন্ট স্পিকার মান উয়িং খিন থান জানান, শুক্রবার এ বিষয়ে সংসদে বিতর্ক করবেন সংসদ সদস্যরা। আর ৩০ মার্চ মিয়ানমারের নতুন প্রেসিডেন্ট থিন কিয়াওয়ের শপথ গ্রহণের পরই পরিকল্পনাগুলো কার্যকর করা হবে। ২১টি মন্ত্রণালয় পরিচালনায় থাকবেন ১৮ জন মন্ত্রী।
সাম্প্রদায়িক সহিংসতার কারণে মিয়ানমারের সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সঙ্গে সরকারের নাজুক হয়ে সম্পর্ককে উন্নত করার লক্ষ্য নিয়ে জাতিগোষ্ঠী বিষয়ক মন্ত্রণালয় স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি’র দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি সম্প্রতি জাতিগোষ্ঠী ও সংখ্যালঘুদের অংশগ্রহণমূলক প্রশাসন নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করে। গত সপ্তাহেই ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির পৃষ্ঠপোষকতায় জাতিগতগোষ্ঠীর সদস্য চিন ক্রিশ্চিয়ান দুই ভাইস প্রেসিডেন্টের একজন হিসেবে নির্বাচিত হন। সে সময়ই দলের পক্ষ থেকে এই অঙ্গীকার ঘোষণা করা হয়।
এ ছাড়াও, পারিবারিক, সীমান্ত ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সেনাবাহিনীর অধীনে থাকবে বলেও ঘোষণা করে নবগঠিত সরকার। সূত্র: দ্য জাপান টাইমস

/ইউআর/এফইউ/