বুধবার তারা রাজকোটের কালেক্টর অফিসে তারা এক লিখিত দাবিনামা জমা দিয়েছিলেন। যেখানে দাবি করা হয়, ২৪ ঘন্টার মধ্যে গরুকে ‘জাতীয় মাতা’ ঘোষণা করতে হবে। কিন্তু কালেক্টর অফিস তাদের দাবি আমলে নেয়নি। তারা কর্তৃপক্ষকে জানায়, তারা কালেক্টর অফিসের সামলে আত্মাহুতি দেবেন। তবে তাদের মধ্যে কেউ মারা যাননি এবং যথা সময়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা কালপেশ চাওডা বলেন, ‘তারা গরুকে জাতীয় মাতা ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। আজও (বৃহস্পতিবার) তারা এই দাবি জানায় এবং তাদের মধ্যে ছয় জন বিষ জাতীয় কিছু খেয়ে ফেলে। তাদের গ্রেফতার করে রাজকোট হাসপাতালে পাঠনো হয়। তাদের মধ্যে দুয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
আত্মহত্যা চেষ্টাকারীদের মধ্যে – মরবি এলাকার কমলেশ রাবারি, গোনদাল এলাকার অমরভাই, আহমেদাবাদের রঘুবীর সিং জাদেজা, জসদানা এলাকার দীপক ভাঘেলা এবং খিরি গ্রামের জয়ুভ জাদেজা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের পুলিশ প্রহরায় জরুরি ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, আরও কয়েকটি শহরেও গরুকে ‘জাতীয় মাতা’ ঘোষণার দাবি জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ডানপন্থী সংগঠন ‘ভারতীয় গাউ ক্রান্তি মঞ্চ’ নামক একটি সংগঠন আত্মপ্রকাশ করে। তারা গরুকে ‘জাতীয় মাতা’ ঘোষণার দাবি জানিয়ে দেশব্যাপী গণ-আন্দোলনের ডাক দেয়। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা গোপাল মণিজী মহারাজ দাবি জানান, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত গরুকে ‘জাতীয় মাতা’ ঘোষণা করে গো-কল্যাণের জন্য একটি পৃথক মন্ত্রণালয় খোলা।
শিব সেনা সহ অনেক ডানপন্থী সংগঠন আগে থেকেই গরুকে ভারতের জাতীয় পশু ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছে। যোগ গুরু রামদেবও একই দাবি জানিয়েছেন। ভারতের অনেক রাজ্যেই গোহত্যা নিষিদ্ধও রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে গরুর মাংস খাওয়াকে কেন্দ্র করে হত্যার মতো সহিংস ঘটনাও ঘটেছে। সূত্র: হাফিংটন পোস্ট, ডিএনএ ইন্ডিয়া, মনোরমা অনলাইন।
/এসএ/বিএ/