যুক্তরাজ্যের ট্রাইডেন্ট পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবস্থা নিয়ে বক্তব্যের পর বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ফ্যালকন এসব কথা বলেন। ব্রাসেলসে হামলার পর সন্ত্রাসী হামলা মোকাবিলায় যুক্তরাজ্যের অবস্থান কী হবে, তা নিয়ে প্রশ্নগুলো করা হয়।
উল্লেখ্য ২০১৫ সালের কৌশলগত প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা পর্যালোচনাবিষয়ক প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্য সরকারের তরফে সতর্ক করা হয় যে আসছে বছরগুলোতে সন্ত্রাসীদের হাতে পারমাণবিক, রাসায়নিক ও জীবাণু অস্ত্র পৌঁছে যাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।
এই প্রেক্ষাপটে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কাছে যেন পারমাণবিক অস্ত্র না পৌঁছাতে পারে তা নিশ্চিত করতে এ সংক্রান্ত কাজে ব্যবহৃত প্রযুক্তিগত উপকরণ রফতানির ওপর যুক্তরাজ্য কড়াকড়ি আরোপ করছে। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় বাহিনীর বাইরে অন্য কোনও গোষ্ঠীর হাতে এ ধরনের অস্ত্র কিংবা প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও অর্থ পৌঁছানোটা খুবই উদ্বেগের বিষয়। আর সেকারণে আমরা পারমাণবিক অস্ত্র সংক্রান্ত প্রযুক্তি রফতানির ক্ষেত্রে কড়াকড়ি করে থাকি।’
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেরেসা মে বলেন, দেশে ও বিদেশে সন্ত্রাস আতঙ্ক বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে ব্রিটিশ সরকার দেশের ভেতরকার নিরাপত্তা জোরদার করেছে। যুক্তরাজ্যের বর্ডার ফোর্স বেলজিয়াম ও ফ্রান্সের বন্দরে অতিরিক্ত কর্মকর্তা নিয়োজিত করেছে। পর্যটকবাহী গাড়িগুলোতে তল্লাশি জোরালো করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
লেবার দলের ছায়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্ডি বার্নহামের এক প্রশ্নের জবাবে থেরেসা মে জানান, ‘যুক্তরাজ্যে প্যারিস স্টাইলের হামলা মোকাবেলায় পুলিশ ইউনিটের সক্ষমতা বাড়াতে ৩৪ মিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগ করা হয়েছে।’ সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট
/এফইউ/বিএ/