ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির অবস্থা নিয়ে এখনও নিশ্চিত কোনও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেন, মার্কিন হামলার আগেই ইরান তাদের উচ্চ সমৃদ্ধকৃত ইউরেনিয়াম সরিয়ে নিয়েছে, এমন কোনও গোয়েন্দা তথ্য তার কাছে নেই। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হেগসেথ বলেন, ইউরেনিয়াম ভাণ্ডার যেখানে থাকার কথা সেখানে ছিল না, অথবা সেগুলো স্থানান্তর করা হয়েছে- আমার হাতে আসা গোয়েন্দা তথ্য পর্যালোচনা করে এমন কোনও কিছুর ইঙ্গিত পাইনি।
হেগসেথের সঙ্গে সুর মিলিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, কোনও কিছু সরাতে আরও বেশি সময় প্রয়োজন ছিল।
বরাবরের মতো কোনও তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প বলেন, পারমাণবিক স্থাপনায় কিছু ট্রাক দেখা গেছে। সেগুলো আসলে নির্মাণ শ্রমিকদের ব্যবহৃত বাহন যেগুলো দিতে স্থাপনার উপরিভাগ ঢেকে রাখার চেষ্টা করা হয়েছিল। ইরান স্থাপনা থেকে কিছুই সরাতে পারেনি।
গত ১৩ জুন ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। এর এক সপ্তাহ পর দেশটির গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা ফরদো, নাতানজ ও ইস্পাহানে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র।
হামলায় প্রায় ৩০ হাজার পাউন্ড ওজনের এক ডজনের বেশি বাঙ্কার বাস্টার ফেলার প্রভাব নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিচ্ছে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র। ইরান দাবি করে আসছে, তাদের ইউরেনিয়াম ভাণ্ডার তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি কেননা তারা আগেই সব সরিয়ে নিয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের দাবি অনুযায়ী, তাদের পারমাণবিক সক্ষমতা ধুলোয় মিশে গেছে।
একাধিক বিশ্লেষকের ধারণা, ফরদো স্থাপনার গভীরে থাকা অস্ত্র তৈরি উপযোগী ইউরেনিয়াম ভাণ্ডার মার্কিন হামলার আগেই সরিয়ে নিয়েছে ইরান। এগুলো এখন অজ্ঞাত কোনও স্থানে লুকানো আছে।
কিছু স্যাটেলাইট ইমেজ বিশ্লেষণ করে তারা বলেছেন, হামলার আগের দুদিন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ফরদোর কাছে কিছু অস্বাভাবিক কর্মকাণ্ড দেখা গেছে। সেদিন স্থাপনার প্রবেশদ্বারের কাছে বাহনের দীর্ঘ সারি ছিল।
এক জ্যেষ্ঠ ইরানি কর্মকর্তার দাবি, তাদের ৬০ শতাংশ সমৃদ্ধকৃত ইউরেনিয়ামের প্রায় পুরোটাই হামলার আগে সরিয়ে অজ্ঞাত কোনও স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।