আইএসে যোগ দেওয়ার চেষ্টার কথা স্বীকার করলেন মার্কিন নারী

যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যের জায়েলিন ডেলশাউন ইয়াং নামের এক নারী স্বীকার করেছেন, তিনি  ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। যাকে তিনি বিয়ে করতে যাচ্ছেন, সেই মুহাম্মদ ওদা ডাখলাল্লাকেও তিনি আইএসে যুক্ত করার চেষ্টার কথা স্বীকার করেন। তাদের দুজনকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে গ্রেফতার করা হয়।

সন্ত্রাসীগোষ্ঠীকে সহযোগিতার জন্য ২০ বছর বয়সী ওই নারীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ওই অভিযোগে তার ২০ বছরের কারাদণ্ড এবং আড়াই লাখ ডলার জরিমানা গুনতে হতে পারে।

তার বাগদত্তা মুহাম্মদ ওদা ডাখলাল্লা চলতি মাসের প্রথমদিকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। গত মাসে সিরিয়া যাওয়ার চেষ্টাকালে তাদের মিসিসিপি বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে আদালতে জানানো হয়।

জায়েলিন ডেলশাউন ইয়াং এবং মুহাম্মদ ওদা ডাখলাল্লা

নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ডাখলাল্লা এক স্থানীয় ইমামের ছেলে এবং ইয়াং এক পুলিশ কর্মকর্তার মেয়ে। সম্প্রতি ইয়াং ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেছেন।

প্রসিকিউটররা জানান, গত বছর মে থেকে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই ইয়াং-এর ওপর নজর রাখছিল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে আইএসকে সমর্থন করে পোস্ট দেওয়ায় এফবিআই তার অ্যাকাউন্ট নজরদারিতে রাখে। ইয়াং এফবিআই-কে জানিয়েছেন, তিনি এবং তার সঙ্গী আইএস দখলীকৃত এলাকায় যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন।

ইয়াং জানান, ডাখলাল্লার পরিবার এবং স্থানীয় মুসলিমরা আইএস-কে সমর্থন করে না। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করেছি, তারা ভুল আর তাই আমি আইন নিজের হাতে তুলে নিলাম।’ তিনি আরও জানান, আইএস-কেই তিনি একমাত্র সঠিক বলে মনে করেন।

এফবিআই এর দাবি, তারা এফবিআই-এর গোয়েন্দাকে আইএস সদস্য মনে করে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, কিভাবে তারা আইএস-কে সাহায্য করতে পারেন। ইয়াং উল্লেখ করেছেন, তিনি কম্পিউতার শিক্ষা এবং প্রচারণায় সহযোগিতা করতে পারেন। তার বাগদত্তা শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যখাতে আইএস-কে সহযোগিতা করবেন বলে ওই এফবিআই সদস্যকে জানিয়েছিলেন। সূত্র: সিএনএন।

/এসএ/বিএ/