৬০ বছর পর দেশে ফিরছে ৩৬ চীনা যোদ্ধার দেহাবশেষ

সিউলের বিমানবন্দরে দেহাবশেষগুলোর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছেকোরীয় যুদ্ধ শেষ হওয়ার ৬০ বছরেরও বেশি সময় পর সে যুদ্ধে নিহত আরও ৩৬ চীনা সেনার দেহাবশেষ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ২০১৪ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে চীনা সরকারের এক চুক্তির অংশ হিসেবে এ নিয়ে তৃতীয় দফায় সেইসব দেহাবশেষ চীনে ফেরত পাঠানো হলো। বৃহস্পতিবার সিউলের ইনচিয়ন বিমানবন্দর থেকে দেহাবশেষগুলো নিয়ে একটি বিমান চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শেনইয়াং শহরের দিকে যাত্রা করে।  
দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে লড়াই করতে গিয়ে এসব চীনা সেনা নিহত হয়েছিলেন। ওই যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার পক্ষে লড়াই করেছে চীন ও সোভিয়েত ইউনিয়ন। আর দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে লড়াই করেছে জাতিসংঘের বাহিনী। গত বছর উত্তর কোরিয়ার সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা পাজু’র বিভিন্ন কবর থেকে ফেরত পাঠানো ওই ৩৬টি দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়।
গত ছয় দশক ধরে চীনা ও উত্তর কোরীয় সেনাদের দেহাবশেষ উদ্ধার হচ্ছে। তাদের পোশাক ও অস্ত্র বিশ্লেষণ করে জাতীয়তা শনাক্ত করা হচ্ছে। তবে ওই সেনাদের নাম শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
২০১৪ সালে চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে চুক্তি হওয়ার পর এ পর্যন্ত ৫০৫টি চীনা দেহাবশেষ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

দেহাবশেষ শনাক্তের কাজ চলছে

১৯৫০-১৯৫৩ সাল পর্যন্ত চলা কোরীয় যুদ্ধে কমিউনিস্ট বাহিনীর ১৫ লাখ সদস্য নিহত হন। সেইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ হাজার সেনা, দক্ষিণ কোরিয়ার ৪ লাখ সেনা, যুক্তরাজ্যের ১ হাজার সেনা নিহত হন। তিন বছরের ওই যুদ্ধে ২০ লাখ বেসামরিকও প্রাণ হারান। সূত্র: বিবিসি

/এফইউ/বিএ/