মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থিতা বাছাই

উইসকন্সিন অঙ্গরাজ্যে ক্রুজ-স্যান্ডার্সের জয়

চলতি বছরের নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার লড়াইয়ে রিপাবলিকান টেড ক্রুজ এবং ডেমোক্র্যাট বার্নি স্যান্ডার্স উইসকন্সিন অঙ্গরাজ্যে তাদের নিজ নিজ দলের শীর্ষ প্রার্থীদের পরাস্ত করেছেন। এর মধ্য দিয়ে তারা নতুন করে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিজেদের শক্ত অবস্থানের জানান দিলেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানাচ্ছে, ৯৭.৫ শতাংশ ভোট গণনা সম্পন্ন হওয়ার পর ডেমোক্র্যাটিক দলের বার্নি স্যান্ডার্স ৫৬.৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন, হিলারি ক্লিনটন পেয়েছেন ৪৩.২ শতাংশ। রিপাবলিকান দলে ৯৭.৫ শতাংশ ভোট গণনা সম্পন্ন হওয়ার পর টেড ক্রুজ পেয়েছেন ৪৮.৩ শতাংশ আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ৩৫ শতাংশ ভোট। ১৪.১ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন কাসিচ।  

বার্নি স্যান্ডার্স

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্যটিতে জয়ের পর উইওমিং-এ নির্বাচনী প্রচারণাকালে বার্নি স্যান্ডার্স বলেন, ‘যদি আপনি কর্পোরেট মিডিয়ার প্রচারণায় কান না দেন, তাহলে আমাদের জয়ী হয়ে হোয়াইট হাউজে যাওয়ার পথটা খোলা রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আজ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষেরা প্রশ্ন তুলছেন, কেন আমরা এমন অদ্ভূত স্তরের বৈষম্যের মধ্যে রয়েছি? কেন দেশের বৃহৎ মধ্যশ্রেণি শুকিয়ে যাচ্ছে?’ স্যান্ডার্স তার সমর্থকদের আরও বলেন, ‘প্রকৃত পরিবর্তন উপর থেকে নিচে আসে না, বরং তা নিচ থেকে উপরের দিকে এগোয়।’

স্যান্ডার্সের এই জয় সত্ত্বেও প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটন এখনও অনেক এগিয়ে রয়েছেন। ক্লিনটনের ১,৭৪৩ ডেলিগেটের সমর্থন রয়েছে। অপরদিকে, ১,০৫৬ জন ডেলিগেটের সমর্থন রয়েছে স্যান্ডার্সের।

রিপাবলিকান শিবিরে, মঙ্গলবার জয়ের পর মিলকাউকিতে নির্বাচনী প্রচারণাকালে টেড ক্রুজ বলেন, ‘আজকের রাত এক মোড় ঘোরার ইঙ্গিত দিচ্ছে। আমরা জয়ী হচ্ছি, কারণ আমরা রিপাবলিকান পার্টিকে ঐক্যবদ্ধ করছি।’

স্ত্রী হেইডি ক্রুজের সঙ্গে টেড ক্রুজ

তবে হারের পরও মঙ্গলবার ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেন, ‘টেড ক্রুজ একজন পুতুল, মনোনয়নের জন্য পার্টির নীতি-নির্ধারকরা তাকে ব্যবহার করছেন।’ উল্লেখ্য, রিপাবলিকান পার্টির নেতারা ট্রাম্পকে দুর্বল প্রার্থী উল্লেখ করে তাদের সতর্ক অবস্থান জানিয়েছেন। নারী, লাতিন এবং তরুণদের ভোট ট্রাম্পের বিপক্ষে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তবে মনোনয়ন দৌড়ে এখনও বেশ খানিকটা এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প। ৭৪০ জন ডেলিগেটের সমর্থন রয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের। অপরদিকে, টেড ক্রুজের রয়েছে ৫১৪ জন ডেলিগেটের সমর্থন। তৃতীয় অবস্থানে থাকা কাসিচের রয়েছে ১৪৩ জন ডেলিগেটের সমর্থন। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, বিবিসি।

/এসএ/