সম্প্রতি এইডসের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তোলার অংশ হিসেবে পদ্দারেশ্বর রাম মন্দির ট্রাস্টের সহযোগিতায় হিন্দু ধর্মের প্রথা অনুযাযী ‘হনুমান চালিশা’র প্রচারণা শুরু করে। বৃহস্পতিবার কাস্তুরচান্দ পার্কে এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানটি আয়োজনের কথা ছিল।
মঙ্গলবার বিচারপতি ভূষণ গাভাল ও স্বপ্না জোশির বেঞ্চ এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন ও প্রচারণা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা দয়াশঙ্কর তিওয়ারি এ দুটি ইভেন্টে সহযোগিতা করবেন না বলে সম্মত হওয়ার পর দুই বিচারপতির বেঞ্চ জনস্বার্থ মামলা থেকে সরে আসেন।
এইডসবিরোধী সচেতনতামূলক কর্মসূচি আর হনুমান চালিশা যপের মধ্যে এক ঘণ্টার ব্যবধান রাখার নির্দেশ দেন তারা। একইসঙ্গে দুটো অনুষ্ঠানের জন্য আলাদা ব্যানার তৈরিরও নির্দেশ দেওয়া হয়। মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনকে আরও বলা হয় যে, তারা যেন হনুমান চালিশার উল্লেখ না করেই এইডস নিয়ে সচেতনতা চালায়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, এদিন তিনবার এ মামলার শুনানি হয়েছে। পরে বিচাপতিরা জানান, তারা ধর্মীয় কর্মসূচির বিরোধী না, তবে এর সঙ্গে সরকারি সংস্থার সংশ্লিষ্টতারবিরোধী। বিচারপতিদের প্রশ্ন হল- কেন শুধু হনুমান চালিশা পড়া হবে, কোরআন, বাইবেল কিংবা অন্য ধমীয় গ্রন্থ থেকে পাঠ করা হবে না কেন? এছাড়া এইডসবিরোধী সচেতনতার সঙ্গে হনুমান চালিশার সম্পর্ক কী তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা।
উল্লেখ্য, হনুমান চালিশা হল রামায়ণের অন্যতম চরিত্র হনুমানের প্রতি নিবেদিত অবধী ভাষায় লিখিত একটি জনপ্রিয় ভক্তিমূলক চালিশা। অর্থাৎ চল্লিশটি চৌপাই দ্বারা রচিত কবিতা। তুসলি দাস এই ধারণার উদ্ভাবক। তার মহাকাব্য রামায়নে হনুমান চালিশার উল্লেখ রয়েছে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
/এফইউ/বিএ/