অষ্টম মৈত্রী সেতু নির্মাণে বাংলাদেশ-চীন চুক্তি

nonameঅষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু নির্মাণে বাংলাদেশকে প্রায় পাঁচ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা দেবে চীন। দুই দেশের মধ্যে বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত চুক্তি সই হয়েছে। অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতার আওতায় চীন বাংলাদেশকে এই অর্থ দিচ্ছে। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম শিনহুয়ার বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড খবরটি নিশ্চিত করেছে।
খবরে বলা হয়, ঢাকার শেরেবাংলা নগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সম্মেলনকক্ষে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন এবং চীন সরকারের পক্ষে বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত মা মিংকিয়াং চুক্তিতে সই করেন। চীনা দূতাবাস এবং বাংলাদেশ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেসময় উপস্থিত ছিলেন।
অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুটি বরিশাল-ঝালকাঠী-ভাণ্ডারিয়া-পিরোজপুর-বাগেরহাট-খুলনা সড়কে কঁচা নদীর চরখালী ফেরিঘাটে নির্মাণ করা হবে। এক হাজার চারশ’ মিটার দীর্ঘ এ সেতুটি নির্মিত হলে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগের ব্যাপক উন্নতি হবে। এটি বরিশালের সাথে পিরোজপুর, বরগুনা, খুলনা অঞ্চলের যোগাযোগ সহজ করবে। এছাড়া এ সেতু মংলা এবং পায়রা সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে বরিশালের যোগাযোগ বৃদ্ধি করবে যা এ অঞ্চলের আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বর্তমানে বরিশাল ও খুলনার মধ্যে সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে কঁচা নদীর ফেরি পারাপারে প্রায় এক ঘণ্টা সময় লাগে। সেতুটি তৈরি হলে যাতায়াতে সময়ের অপচয় হবে না এবং সড়ক যোগাযোগ আরও সহজ হবে।

উল্লেখ্য চীন সরকারের অনুদানে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন এ পর্যন্ত ৭টি সেতু নির্মিত হয়েছে। সর্বশেষ মাদারীপুর জেলার ‘মাদারীপুর-শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়কে আড়িয়াল খাঁ নদীর উপর সপ্তম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু (কাজীরটেক সেতু) নির্মিত হয়েছে। সূত্র: বিনজেস স্ট্যান্ডার্ড

/বিএ/